কৃষকদের ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে কৃষি আইন বাতিল হয়েছে আগেই। খোদ প্রধানমন্ত্রী গুরু নানক জয়ন্তীর দিনে এনিয়ে টেলিভিশনে মুখ খুলেছিলেন। এমনকী কৃষি আইন নিয়ে জনতার কাছে কার্যত ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তবে তার আগেই এই আইন সম্পর্কে কৃষকদের মতামত জানার জন্য় সুপ্রিম কোর্টের আওতায় একটি প্যানেল তৈরি হয়েছিল। সেই প্যানেলের দাবি ৮৬ শতাংশ কৃষক সংগঠন এই আইনটিকে সমর্থন জানিয়েছে। সেই সংগঠনের ছাতার তলায় অন্তত ৩ কোটি কৃষক রয়েছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্যানেলের মতামতে আর বিশেষ কোনও সারবত্তা নেই। কারণ কৃষি আইনকে আগেই বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে সেই প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার এই আইনের প্রয়োগের ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা দেখাতে পারত। পাশাপাশি প্যানেলের তরফে দাবি করা হয়েছে সংখ্য়াগরিষ্ঠ কৃষক যাঁরা মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা এই বিতর্কিত কৃষি আইনকে সমর্থন করছিলেন। সেক্ষেত্রে কৃষি আইনকে বাতিল করা কোনওভাবে উচিত হয়নি।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই প্যানেলটি তৈরি করেছিল। প্রাথমিকভাবে চারজন সদস্য ছিলেন এই প্যানেলে। কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, মহারাষ্ট্রে শ্বেতকারি সংগঠনের সভাপতি অনিল গানওয়াত, আন্তর্জাতিক ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রমোদ কুমার যোশী ও ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সভাপতি ভূপিন্দর সিং মান। পরে অবশ্য তিনি ওই প্যানেল থেকে সরে আসেন। প্যানেলের রিপোর্ট বলছে, কৃষকদের সমস্য়া মেটানোর জন্য বিকল্প মেকানিজম গড়ে তোলা দরকার। তবে শীঘ্রই প্যানেলের রিপোর্টকে প্রকাশ্যে আনা হবে।