বাবার বকেয়া আদায়ের জন্য কয়েক দশকের লড়াইয়ে অবশেষে জয়ী হলেন ৮৮ বছরের ছেলে। কর্ণাটক হাইকোর্ট বাবার ৩৭ হাজার টাকা বকেয়া ছেলেকে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে এই বিষয়টিকে অসংবেদনশীল আমলাতান্ত্রিকতার শিকার বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। ৩৭ হাজার টাকা বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ৬ বছর ধরে সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক, এটা ধর্ষণ নয়, অভিযোগ খারিজ করল হাইকোর্ট
মামলার বয়ান অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর রাজাজিঙ্গার বাসিন্দা টি কে শেশাদ্রি আয়েঙ্গার একজন গ্রাম অফিসার (প্যাটেল) ছিলেন। ১৯৯৭ সালে গ্রাম অফিসারদের দায়ের করা একটি আবেদনে সম্মতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে ক্ষেত্রে গ্রাম অফিসারদের জন্য ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতিমাসে ১০০ টাকা ভাতা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল আদালত। শেশাদ্রি আয়েঙ্গারও একজন সুবিধাভোগী ছিলেন। তাই তিনিও নিয়ম মেনে বেশ কয়েকবার ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরপর বাবার হয়ে আইনি লড়াই শুরু করেন ছেলে টি এস রাজন। প্রথমে তিনি কাদুর তহসিলদারের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু তারা আবেদন ২০১৭ সালে প্রত্যাখ্যান হয়ে যায়। রাজনের বাবা এককালীন কোনও টাকা না পাওয়ার কারণে সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়ে যায়। এরপর তিনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, সেখানে তিনি জয়ী হননি। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০২১ সালে তিনি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন।
রাজনের আইনজীবী হাইকোর্টে যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলের বাবা ভাতা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। আদালত রায়ে সরকারের যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, এটা আশ্চর্যজনক যে রাজ্য সরকার বলছে তিনি ভাতা পাওয়ার যোগ্য নন। রাজ্য সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। তিনি যেহেতু প্যাটেল হিসেবে কাজ করতেন তাই বিষয়টিকে রাজ্যের বিবেচনা করা উচিত ছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি পিএস দীনেশ কুমার এবং বিচারপতি টিজি শিব শঙ্কর গৌড়ার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আবেদনকারীকে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বকেয়া মেটাতে হবে এবং এককালীন টাকা দিতে হবে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালের বকেয়া পাতা হিসেবে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দিতে হবে শতাংশ সুদে অর্থ প্রদান করা হবে টাকা দিতে। অল্প টাকার উপর ১০ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।আদালত তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে।