৬ বছর ধরে সম্মতিক্রমেই শারীরিক সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলাকে বিয়ে করেননি এক ব্যক্তি। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা। তবে কর্ণাটক হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্য়মে তাদের মধ্য়ে পরিচয় হয়েছিল। তবে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
সেই ২০১৯ সাল থেকে তাদের মধ্য়ে সম্পর্ক। তবে কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৬ বছর ধরে যাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে সেটাকে কখনওই ধর্ষণ বলে বলা যাবে না। আদালত জানিয়েছে ৫ বছর ধরে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হলে সেটা কোনওভাবেই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়। এরপর কর্ণাটক হাইকোর্ট ধর্ষণের অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর দেবাঙ্গিরি ও ইন্দিরানগর পুলিশ স্টেশনের মহিলা থানায় এই অভিযোগ জানানো হয়েছিল।২০২১ সালে এই অভিযোগ এসেছিল। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকে তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা হয়েছিল। তবে পারস্পরিক সম্মতিতে যে যৌনক্রিয়া সেটাকে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না।
আবেদনকারী জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ফেসবুক বন্ধু হিসাবে তাদের মধ্য়ে পরিচয়। ওই মহিলা বাড়ির কাছেই থাকতেন। ভালো রান্না করতে পারেন এই অছিলায় ওই যুবক রোজই তাকে বাড়িতে নেমন্তন্ন করতেন। রাতের দিকে ভালো রান্না করতেন ওই যুবক। এরপর তারা বিয়ার খেতেন। তারপর তাদের মধ্য়ে যৌন সম্পর্ক হত। প্রায় ৬ বছর ধরে এটা চলে। এরপর ওই যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
তবে আদালত জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে। একে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না। আপাতত যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। কারণ প্রথম দিন থেকে তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা হয়েছিল। তবে পারস্পরিক সম্মতিতে যে যৌনক্রিয়া সেটাকে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না।