নিয়মিত মদ্যপান করতেন ওই ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি
মদের নেশা সর্বনাশা। কিন্তু সেই নেশা যে এমন ভয়াবহ হতে পারে তা এবার প্রকাশ্য এল। ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে ভয়াবহ ঘটনা। এক ব্যক্তি শুধু মদের নেশায় আসক্ত হয়ে একের পর এক স্ত্রীকে ত্যাগ করেছেন। এই করতে গিয়ে তিনি ১১জন স্ত্রীকে ত্যাগ করেছেন। বলা যায় নেশায় আসক্ত স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তারাও। শেষ বা দ্বাদশ স্ত্রীকে ওই ব্যক্তি পিটিয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। দোষের বলতে তিনি স্বামীর মদের নেশায় আপত্তি তুলেছিলেন। আর তাতেই একেবারে তুলকালাম কাণ্ড!
সূত্রের খবর ওই ব্যক্তি সব মিলিয়ে ১১টি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সমস্ত স্ত্রীরাই স্বামীর মদের নেশায় তিতিবিরক্ত হয়ে ছেড়ে চলে যান। ১২তম স্ত্রী তাঁর মাতাল স্বামীকে মদ ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর তাতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান তিনি। ১২তম স্ত্রীকে তিনি পিটিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম রামচন্দ্র তারো। তিনি ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা। নয় নয় করে ১২টা বিয়ে করেছিলেন তিনি। একের পর এক স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। মদ খেয়ে তিনি চরম অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ।
প্রায় ২০ বছর আগে তিনি সাবিত্রী দেবীকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের ৪জন ছেলে মেয়েও রয়েছে। কিন্তু মদের নেশাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে নিত্য় অশান্তি। দিনের পর দিন ধরে ঝামেলা। আর তারই পরিণতিতে এবার একেবারে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে।
রামচন্দ্রের একজন হায়দরাবাদে শ্রমিকের কাজ করেন। বাকিরা বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে বাড়িতে কেবলমাত্র রামচন্দ্র ও তার স্ত্রী ছিলেন। এদিকে রামচন্দ্র ফের মদ খাওয়া শুরু করেন। তাতেই বাধা দেন তার স্ত্রী। আর তা থেকেই একেবারে কুরুক্ষেত্র বেঁধে যায়। রাগে রামচন্দ্র এরপর তার স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় কুমার সাভ জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির ১১টি বিয়ে হয়েছিল। তার এই মদ খাওয়ার অভ্যাসের জেরে বাকি স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। শুধু সাবিত্রী রয়ে গিয়েছিলেন তার সঙ্গে। কিন্তু তাঁরও ভয়াবহ পরিণতি হল এবার। মদ খেতে বারণ করায় তিনি তার স্ত্রীকে খুন করেন বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের দাবি সোমবারও মদ খেয়ে বাড়ি ফিরেছিল রামচন্দ্র। এরপরই শুরু হয় ঝগড়া। এরপরই স্ত্রীকে লাঠি, রড দিয়ে পেটানো হয়। তাতেই জ্ঞান হারান তিনি। পরে মৃত্যু হয় তার।