মহাদেব গেমিং আর বেটিং অ্য়াপ নিয়ে এবার বড় আপডেট। এক জার্মান নাগরিক এই অ্যাপ তৈরির পেছনে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য়ান্য় দেশে যেমন অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে তেমনি এই অ্য়াপ তৈরি করা হয়েছিল। ইডি এটা জানতে পেরেছে। তবে তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে শুধু ওই জার্মান নাগরিক ওই মহাদেব অ্য়াপ তৈরিতে কলকাঠি নেড়েছিল তেমনটাই নয়, সে এই অ্যাপ চালানোর ক্ষেত্রেও অন্য়তম আড়কাঠি হিসাবে কাজ করত।
তদন্তে নেমে ইডির হাতে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রথম স্তরে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছিল। তারাই এই অ্যাপটির দেখভাল করত। সেখানে যেটা নিশ্চিত করা হয়েছিল যে আয় হবে তার ৪০ শতাংশ বিজেতাদের দেওয়া হবে। আর বাকি ৬০ শতাংশ চলে যাবে মহাদেবের মালিকদের কাছে। এটাই হল লাভের অঙ্ক।
দ্বিতীয় স্তরে আছে সৌরভ চন্দ্রকর, রবি উপ্পলের মতো ব্যক্তিরা। তারা অ্যাপটাকে ম্যানেজ করত। তারা হাওয়ালার মাধ্য়মে ও শেল কোম্পানির মাধ্য়মে যে টাকা আসল সেটাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিত। আর তৃতীয়স্তরে একেবারে তৃণমূলস্তরে কাজ করত। তারা অ্যাপের লিঙ্ক সরবরাহ করত। একেবারে নীচের স্তরে অ্য়াপটি কতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, কতটা মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে সেটা দেখত তারা। এরপর সেই টাকা তারা দ্বিতীয় স্তরে পাঠিয়ে দিত। এইভাবে একাধিক স্তরে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। সেই মতোই কাজ চালানো হচ্ছিল।
তবে তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে বিপুল অর্থ ওই জার্মান নাগরিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিদেশেও পাঠানো হয়েছে বিপুল অর্থ। হাওয়ালার মাধ্য়মেও বিপুল অঙ্ক দুবাই সহ বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।