চলছিল গ্রামের কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানে স্বয়ং স্থানীয় কাউন্সিলর ছুড়লেন গ্রেনেড। ঘটনা স্থল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। যেখানে রুশ আগ্রাসন ক্রমাগত রক্তস্নাত করে চলেছে পর পর এলাকা। ইউক্রেনের পশ্চিম জাকারপাত্তিয়ায় এই ঘটনার জেরে প্রাথমিকভাবে ২৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যে ওই কাউন্সিলর মারা গিয়েছেন এই হামলার পরই। তবে পরে জানা যায়, তিনি জীবিত থাকতে পারেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে আহতের সংখ্যা ২৬। এদিকে, পুলিশ সূত্রে একটি টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার চ্য়ানেলে বলা হয়েছে, গ্রামের কাউন্সিল বৈঠক চলাকালীন এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আহত ২৬ জনের মধ্যে খুবই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৬ জন। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এটি স্পষ্ট নয় যে কয়টি গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ১ টি গ্রেনেডের হামলা চলেছে। পরে অনুমান করা হচ্ছে, একটির বেশি গ্রেনেড হামলা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াইতে রয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা রুশ হামলার ফলে বিধ্বস্ত হয়েছে। তারই মাঝে বহুবার রাশিয়ার তরফে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি এসেছে। ইউক্রেনের সমর্থনে যে সমস্ত দেশ এসেছে, তাদের ঘিরেও হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েনি রাশিয়া। পশ্চিমী বিশ্বের প্রতি ঘোর ক্ষোভ জাহির করেছে সেদেশ।
এরই মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে নয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, রাশিয়ার লক্ষ্য যতক্ষণ না পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ এই যুদ্ধ চলবে। প্রতি বছরই রীতি মেনে বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও গত বছর বৈঠক বাতিল হয়েছিল। তবে এই বছর বৈঠক করছেন পুতিন। এবারের বৈঠকের বিষয় ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ। তখনই পুতিন জানান যে রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না। বৈঠকে আরও যে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হল, রুশ সেনার পারিশ্রমিক, রাশিয়ার অর্থনীতি। তবে ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে পুতিনের বক্তব্য কার্যত ছিল সাফ।