গুজরাটের মৌরবিতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় সরকারি ভাবে মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের। এই দুর্ঘটনার জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গতকাল বিশেষ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তাঁর মোরবী আসার কথা। তবে এর আগেই মোদীর সফর ঘিরে বিতর্ক শুরু হল। কংগ্রেস দাবি করল, মোদীর সফরের জন্য হাসপাতাল রঙ করানো হচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। টুইট করে কংগ্রেস লেখে,‘তাদের লজ্জা করে না! এত মানুষ মারা গিয়েছে এবং তারা একটি অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল সোমবারই মৌরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে প্রধানমন্ত্রী‘কর্তব্যের পথ’ বেছে নিয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ২৯০০ কোটি টাকার রেল প্রকল্প উদ্বোধন করেন। সকালে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম বার্ষীকি উপলক্ষে স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতেও যান। সেখানে তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছিল মৌরবির মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়টি। তবে এরই মধ্যে এবার বিরোধীরা তোপ দাগতে শুরু করল মোদীকে।
শুধু কংগ্রেস নয়, হাসপাতাল রঙ করার ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপিকে তোপ দাগে আম আদমি পার্টিও। আপ টুইট করে লেখে,‘মৌরবি সিভিল হাসপাতাল রাতারাতি রঙ করা হচ্ছে। যাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ফটোশুটের সময় ভবনের খারাপ অবস্থা প্রকাশ না পায়। ১৪১ জন মারা গিয়েছে,শতাধিক নিখোঁজ। এই আবহে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু ফটোশুট করে বিজেপিকে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে হবে।’ যদিও আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের পোস্ট করা ছবি এবং ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এদিকেগুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার রাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি,রাজ্যের ডিজিপি আশিস কুমার ও মুখ্যসচিব পঙ্কজ ভাটিয়া। গান্ধীনগরের রাজভবনে এই বৈঠক বসেছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এই বৈঠকে। উদ্ধারকাজ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় মোদীর কাছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।