অতীতে আয় কম দেখানোয় বা আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় ইতিমধ্যে এক লাখ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের হাতে যে তথ্য আছে, সেটার সঙ্গে কারও রিটার্নে দেখানো আয় সংক্রান্ত তথ্য যদি না মেলে, তাহলে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। যে করদাতাদের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের কাছে আয়কর দফতরের নোটিশ যাচ্ছে। আবার যাঁরা আয়কর রিটার্ন (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন) ফাইল করেননি, তাঁদেরও নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে (২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে) সেইসব নোটিশের স্ক্রুটিনি এবং মূল্যায়নের কাজ শেষ করে ফেলবে আয়কর দফতর।
আরও পড়ুন: ITR Filing Deductions: IT রিটার্ন দাখিলের সময় এই ৬টি 'অস্ত্র' কাজে লাগান, এক টাকাও আয়কর দিতে হবে না
সীতারামনের কথায়, ‘ইতিমধ্যে প্রায় এক লাখ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সিবিডিটি (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস) আমায় আশ্বস্ত করেছে যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ওই এক লাখ (কেস) মিটিয়ে ফেলা হবে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সেটার ভিত্তিতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। যাঁদের আয় ৫০ লাখ টাকার উপরে এবং আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছে নোটিশ। যেগুলির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হবে।’
আয়কর আইনের আওতায় রিটার্ন দাখিলের ছয় বছর পর্যন্ত সেই রিটার্ন মূল্যায়ন করা যায়। যা আগে আগে ১০ বছর ছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নয়াদিল্লিতে ১৬৪ তম আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে সীতারামন বলেন, 'ছয় বছরের পর কোনও করদাতার রিটার্ন মূল্যায়নের ফাইল খোলা হবে না। নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্তের ভিত্তিতেই চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বছরে তাঁরা (ট্যাক্স অফিসাররা) রিটার্ন মূল্যায়নের কাজ করতে পারবেন।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চতুর্থ বছর থেকে ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত রিটার্নের কেস চালু করার জন্য প্রিন্সিপাল চিফ কমিশনার পর্যায়ের অফিসারের অনুমোদন লাগবে। যেক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ৫০ লাখ টাকার বেশি।
সীতারামন আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরের মে'তেই শুধুমাত্র ৫৫,০০০ নোটিশের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করেছে সিবিডিটি। যা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার আয়করের হার না বাড়ালেও আরও লাভের পরিমাণ আরও বেড়েছে।