দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারে আর্থিক সংকট ছিল। এই নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। শেষ পর্যন্ত নিজের স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করে বসলেন দিল্লির বাসিন্দা এক ব্যক্তি। খুন করে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে এখনও অভিযুক্তকে ধরা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার দিল্লির গীতা কলোনি এলাকায়। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত শচিন আরোরার একটি মুদির দোকান ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সংসার ঠিকমতো চলছিল না শচিনের। ফলে তিনি খুবই চিন্তার মধ্যে ছিলেন। তবে এমন একটা ঘটনা যে সে ঘটিয়ে ফেলবে, তা হয়ত কেউ ভাবেওনি। জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে নিজের হাতেই প্রথমে খুন করে স্ত্রীকে। এরপর তাঁর এক ১৫ বছরের ছেলেকেও খুন করে সে। এরপর পারিবারিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে নিজের খুনের কথা স্বীকার করে বসে সে। পরিবারের এক সদস্য সে কথা জানতে পারে ও পুলিশকে খবর দেয়। জানা যায়, শচিনের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র।
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে শচিনের স্ত্রী কাঞ্চন আরোরার দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি ছেলেটির দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহের কাজ করে। দেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শচিন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্যবসা ঠিকভাবে চলছিল না শচিনের। আর্থিক দেনায় ডুবে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই খুনের পিছনে কী আর্থিক অনটনই প্রধান কারণ, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত শচিনকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এস সত্যাসুন্দরম জানান, গত শনিবার দুপুর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।