ভারতে শিশু নিরাপত্তা বিষয়ক পকসো আইনে প্রতিটি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনায় ৩ জনকে রেহাই দেওয়া হয়। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। ‘প্রোটেকশন অফ চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স’ অ্যাক্টের আওতায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলা মামলা নিয়ে বেশ কিছু পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, ‘এ ডিকেড অফ পকসো’ শীর্ষক সমীক্ষা ও গবেষণায়।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশে পকসো আইনের আওতায় রেহাইয়ের সংখ্যা দোষী সাব্যস্তের থেকে ৭ গুণ বেশি। এই রেহই দোষীর থেকে ৫ গুণ বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এদিকে, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহু পকসো আইনে দায়ের হওয়া মামলায় উত্তরপ্রদেশে দ্বিধা রয়ে গিয়েছে ৭৭.৭৭ শতাংশ মামলায়। তবে এই সবের মধ্যে কেরলই একমাত্র রাজ্য যেখানে দোষী সাব্যস্ত ও রেহাইয়ের শতাংশের মধ্যে ফারাক কম। পরিসংখ্যান বলছে, সে রাজ্যে পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা ১৬.৪৯ শতাংশ, রেহাইয়ের শতাংস ২০.৫। সমীক্ষা দেখেছে, গত কয়েক বছরে পকসো আইনে পড়ে থাকা মামলার সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। পড়ে থাকা মামলার সংখ্যা ২০১৯ সালে অনেকটাই কম ছিল। মনে করা হচ্ছে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পকসো আইনে পড়ে থাকা মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে কোভিড মহামারীর সময় কোর্ট বন্ধ থাকাও অন্যতম কারণ হতে পারে।
এই বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্য়ান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, যেহেতেু বহু মামলায় রাজ্যগুলি নির্যাতিত শিশুর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে না তাই তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও বহু ক্ষেত্রে ধাক্কা খাচ্ছে। বলা হচ্ছে, পকসো মামলায় অভিযোগ দায়েরের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ মামলার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট দফতে সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব। তবে দিশা পুলিশ স্টেশনগুলি চালু হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে বলেও জানাচ্ছে এসসিপিসিআর। সবমিলিয়ে এই পরিসংখ্যান আরও ওকবার তুলে ধরল পকসো আইনের দশ বছর পর ভারতে শিশুজের ওপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত পরিস্থিতির চিত্র।