ভারতের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত প্রতিবেশী ভুটান। সেই ভুটান এবার সমঝোতার হাত বাড়িযে দিয়েছে চিনের দিকে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ। আর এরপরই কেন্দ্রকে তোপ দেগে রাহুলের মন্তব্য, 'কেন্দ্রের বিদেশনীতি হল কীভাবে বন্ধু হারাতে হয় এবং কীভাবে কারোর ওপর কোনও প্রভাব না ফেলা যায়।'
এই বিষয়ে একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী। টুইট বার্তায় কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, 'ভারত সরকারের বিদেশ নীতি: কীভাবে বন্ধু হারাতে হয় এবং কারোর ওপ প্রভাব না ফেলতে হয়।' উল্লেখ্য, ভুটান ও চিনের এই মউ স্বাক্ষর আদলে সীমান্ত আলোচনা নিয়ে। এর ৪ বছর আগে ডোকলামে ভারত-চিন সেনা মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুটান-চিন আলোচনা কিছুটা হলেও কূটনৈতিক ভাবে ভারতকে ব্যাকফুটে রাখবে।
ভুটানের বিদেশমন্ত্রী লিয়নপো তান্ডি দর্জি এবং চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট পক্ষের পক্ষ থেকে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মউ স্বাক্ষর করেন। ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং এবং ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেটসপ নামগিয়েলও ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার একটি নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ের সময়, বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয় যে ভারত ভুটান এবং চিনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে অবগত। কিন্তু চুক্তির বিষয়ে নয়াদিল্লিকে সংশ্লিষ্ট দেশের তরফে আগে থেকে জানানো হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই বিষয়ে বলেন, 'আপনি জানেন যে ভুটান এবং চিন ১৯৮৪ সাল থেকেই সীমান্ত আলোচনা চালিয়ে আসছে। ভারতও একইভাবে চিনের সাথে সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করছে। আশা করা যায় যে এই রোডম্যাপটি সদিচ্ছা, বোঝাপড়া এবং সেখানকার বসবাসকারীদের কথা মাথায় রেখে বাস্তবায়িত হবে। তা হলে সীমান্ত আলোচনা সফল হবে এবং তা উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।'