ঘটনা উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের। সেখানে বিয়ের রাতের এক মর্মান্তিক ঘটনার ৭ দিন পরই মৃত্যু হল স্ত্রীর। ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর যৌন মত্ততার জেরে বিয়ের রাতেই আহত হন স্ত্রী। এরপর গুরুতর অবস্থায় যন্ত্রণা সঙ্গে নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর। ঘটনায় মহিলার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বিয়ের প্রথম রাতে সঙ্গমের ইচ্ছা বর্ধক পিল খেয়েছিলেন ওই যুবক। এরপরই তিনি যৌনতায় মত্ত হয়ে ওঠেন। স্বামীর ক্রমাগত বাড়তে থাকা যৌনতার খেসারত দিতে হল স্ত্রীকে। স্বামীর তীব্র যৌন লালসার স্বীকার হয়ে স্ত্রী প্রবল আহত হন। আহত অবস্থায় স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কানপুরের হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এরপরই মহিলার পরিবারের তরফ থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি মহিলার মৃত্যু হয়। বিয়ের ৭ দিন পর এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। হাসপাতালে যদিও ৩ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে, জানা গিয়েছে, ওই মহিলার পরিবার থেকে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের সুপারিটেন্ডেন্টের কাছে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে , মহিলার পরিবার দাবি করেছে, যাতে ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে শোনা যাচ্ছে, বাড়ি বন্ধ করে ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার পালিয়েছেন।
তবে, হামিরপুর পুলিশ জানিয়েছে, তারা কোনও অভিযোগ পাননি। ‘কোনও তথ্য বা অভিযোগ কোতোয়ালি নগর পুলিশ স্টেশনে আসেনি।’ তবে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে তারা পদক্ষেপ করবে। সেই অনুযায়ী হবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, বিয়ের রাতে স্বামীর যৌন লালসার শিকার স্ত্রী, পরের দিন থেকেই অসুস্থ হন। তাঁকে প্রথমে নারীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় মহিলার। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।