জনসংখ্যা নীতি তৈরির দাবিকে ফের সামনে আনলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সংগঠনের বাৎসরিক কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের জনবিস্ফোরণের প্রসঙ্গ তুলে জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে এই জনবিন্যাসের তারতম্যের জেরে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাঁর দাবি, জনবিন্যাসে বড়সর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। জনবিন্যাসের সমতাটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পপুলেশন পলিসি তৈরির দাবি ফের তুলেছেন মোহন ভাগবৎ। সুষ্ঠু পরিবার পরিকল্পনার উপরেও জোর দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।
আরএসএস প্রধান জানিয়েছেন, এনিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। তবে এবার এনিয়ে জোরালো আলোচনা করা দরকার। আগামী ৫০ বছরের জন্য একটা শক্তপোক্ত জনসংখ্য়া পলিসি তৈরি করা খুব দরকার। ২০১৫ সালে সংঘের একটি প্রস্তাবকেও ফের সামনে আনেন তিনি। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৮ সালেও তিনি এনিয়ে জোরালো আওয়াজ তুলেছিলেন। জনসংখ্য়ার সমতা আনার জন্য একটি আইন আনা দরকার বলেও মতামত দিয়েছিলেন তিনি।
সঙ্ঘ প্রধানের দাবি, এই পলিসি আনা হলে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা যাবে। জোর করে ধর্মান্তকরণ আটকানো যাবে। প্রাকৃতিক সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রেও সকলের সমান অধিকার থাকবে। ২০০৪ সালেও অখিল ভারতীয় কার্যকারিনী মণ্ডলেও এই অসম জনবিন্যাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সঙ্ঘ কর্তারা। সেই সময় ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যানকে সামনে এনে সঙ্ঘ কর্তারা হিন্দু সহ অন্যান্য কমিউনিটির সংখ্য়াতে কী পরিবর্তন হয়েছে তা জানিয়েছিলেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের জেরে কীভাবে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের সংখ্যায় পরিবর্তন হচ্ছে সেকথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। সেই সময় বলা হয়েছিল এক দশকে খ্রীষ্টান জনসংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে দেশের ১১টি রাজ্যে ও মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৯টি রাজ্যে।