ভারতীয় সেনা রোজগারের জায়গা নয়। সেনা কোনও দোকান বা সংস্থা নয়। যাঁদের 'অগ্নিপথ' প্রকল্প পছন্দ নয়, তাঁদের আসার দরকার নেই। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিকে সিং বলেছেন যে 'আমার বিশ্বাস, কেউ যদি সেনায় চার বছর কাজের পর আসেন, তাহলে তিনি নিজেই দক্ষ হন এবং কোনও সাহায্য চাই না। সেনা চাকরির কোনও মাধ্যম নয়। এটা কোনও দোকান বা সংস্থা নয়। যিনি সেনায় যোগ দেন, তিনি স্বেচ্ছায় যোগ দেন।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা (অগ্নিপথ) স্বেচ্ছামূলক প্রকল্প। যাঁরা আসতে চান, তাঁরা আসতে পারেন।'
আরও পড়ুন: Trains Cancelled in West Bengal: ‘অগ্নিপথ’-র ধাক্কায় সোমবারও বাংলা থেকে বাতিল একাধিক ট্রেন, পালটে গেল সময়ও
'অগ্নিপথ' প্রকল্প ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলেছে। জ্বালানো হয়েছে আগুন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন, গাড়ি। চলেছে তাণ্ডব। সেই ঘটনার রেশ ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কে আসতে বলছেন? আপনারা বাস এবং ট্রেন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আপনাদের বলেছেন যে সেনায় নেওয়া হবে? কোনও বাধ্যবাধকতা নেই তো।’
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা:
১) সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী: লেফটেন্যান্ট জেনারেল আগামী চার-পাঁচ বছরে ৫০,০০০-৬০,০০০ জওয়ান নিয়োগ করা হবে। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ৯০,০০০ থেকে এক লাখ করা হবে। পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১.২৫ লাখ। প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রথমে ৪৬,০০০ জনকে নিয়োগ করব আমরা।
২) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক: সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার প্রদানের যে ঘোষণা করছে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং কেন্দ্রের দফতর, তা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল। অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর দেশের একাংশে যে হিংসা ছড়িয়েছে, সেই কারণে তড়িঘড়ি ঘোষণা করা হচ্ছে না।
৩) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক: পুলিশ বাহিনীতে অগ্নিবীরদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যকে অনুরোধ করা হবে। কারণ যিনি যে রাজ্যের বাসিন্দা, তিনি তো চার বছর পর সেই রাজ্যেই ফিরে যাবেন।
আরও পড়ুন: Indian Army Jobs 2022: ভারতীয় সেনায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগের র্যালি কবে? ‘অগ্নিপথে’ প্রশিক্ষণ কবে?
৪) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক: শৃঙ্খলা হল ভারতীয় সেনার ভিত্তি। হিংসা, ভাঙচুরের কোনও জায়গা নেই। প্রত্যেককে একটি শংসাপত্র দিতে হবে যে তাঁরা কোনও বিক্ষোভ বা ভাঙচুরে যুক্ত ছিলেন না। ১০০ শতাংশ প্রার্থীর পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া হবে। সেটা ছাড়া কেউ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না।