করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা। মাস চারেকের বিরতি কাটিয়ে পুনরায় দু’দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। এয়ার বাবল চুক্তি অনুযায়ী, ২২ অগস্ট থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় এই বেসরকারি বিমানসংস্থার ফ্লাইটগুলি চলাচল শুরু করবে।
সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহ থেকেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হতে চলেছে। যদিও বাংলাদেশের অসামরিক বিমান মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় বিমান চলাচলের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তবে মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই বিমানগুলি আগামী সপ্তাহ থেকে ফের চালু করা হচ্ছে।
গত ১ অগস্ট বাংলাদেশের এই বেসরকারি বিমান সংস্থা এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল যে, তারা আগামী সপ্তাহ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ১২টি বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু করবে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের এই বিমান সংস্থা ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে দিল্লি-কলকাতা ও চেন্নাইয়ের জন্য বিমান পরিচালনা করবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় যাত্রীদের জন্য দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বই থেকেও বিমান পরিষেবা থাকবে।
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এপ্রিল মাস থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। চার মাস পর আবার এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম ডোরাইস্বামী একটি টুইটে বলেছিলেন যে, ‘ভারত ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য স্বাভাবিক ভিসা পরিষেবা ১১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আবেদন কেন্দ্রে পুনরায় চালু হবে।’ তিনি তার টুইটে আরও বলেছেন, ‘আপাতত পর্যটন ভিসা ছাড়া সমস্ত ভিসা জারি করা হবে।’
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ ভারতের অসামরিক বিমান মহাপরিচালককে চিঠি লিখে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বিমান চলাচল পুনরায় চালু করার জন্যে অনুমোদন চেয়েছিল। অবশ্য ১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। সে কারণে ভারতীয় যাত্রীদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে এয়ার বাবল।