উত্তরপ্রদেশে ভোটের দামামা বাজতেই বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে ‘রাম মন্দির’। অযোধ্যায় ’রাম বন্দনা’র ফসল ভোটের রূপে ঘরে তুলতে মরিয়া বিজেপি। আর এই আবহে বারংবার অখিলেশ যাদবকে ‘কবরস্থান’ নিয়ে খোঁচা মারতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। আর খোঁচা খাওয়া অখিলেশের গলায় এবার শোনা গেল ‘কৃষ্ণ নাম’। সোমবার সাংবাদিকদের কাছে অখিলেশ দাবি করেন, প্রত্যেক রাতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর স্বপ্নে আসেন এবং বলেন এবার নির্বাচনে তাঁর দলই সরকার গড়বে উত্তরপ্রদেশে।
উল্লেখ্য, সোমবার মথুরার বিজেপি বিধায়ক মাধুরী ভার্মা যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেই শ্রীকৃষ্ণ প্রসঙ্গ টেনে অখিলেশ বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণ প্রতিদিন আমার স্বপ্নে এসে আমাকে বলে যান যে উত্তরপ্রদেশে আসন্ন নির্বাচন জিতে আমার দলই সরকার গড়বে।’ উল্লেখ্য, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব চাইছে যাতে যোগী আদিত্যনাথ মথুরা থেকে নির্বাচনে লড়েন। সেই বিষয়ে জেপি নড্ডাকেও চিঠি লিখেছেন তারা। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলেই কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল অখিলেশের গলায়।
প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথ মথুরা থেকে ভোটে লড়লে সেখানে বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের ছক কষতে চাইবে। অপরদিকে অখিলেশ চাইবেন এখানে জাতিগত মেরুকরণের অঙ্ক কষতে। উল্লেখ্য, সমাজবাদী পার্টিতে যোগদানকারী বিদেপি বিধায়ক মাধুরী ভার্মা কুর্মী জাতির প্রতিনিধি। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মথুরায় কুর্মীদেরই আধিপত্য। অপরদিকে গোরক্ষপুরের প্রাক্তন সাংসদ যোগী দৃহলেন ঠাকুর। এককালে বিজেপি ‘ভোট ব্যাঙ্ক’ ব্রাহ্মণদের মধ্যেও যোগীর জনপ্রিয়তা খুব কম। এই আবহে জাতিগত মেরুকরণের অঙ্কে বাজিমাত করার চেষ্টা করতে চাইবে সমাজবাদী পার্টি।
এদিকে কয়েকদিন আগেই এক নির্বাচনী জনসভা থেকে যোগী অখিলেশকে তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘আমি বাবুয়াকে (পড়ুন: অখিলেশ যাদব) বলতে শুনেছি যে তারাও রাম মন্দির তৈরি করতে পারত। কবরস্থান তৈরি করার পর তাদের হাতে সময় থাকলে তবে না তারা রাম মন্দিরের কথা ভাবত। যারা অযোধ্যায় হিন্দুদের ওপর গুলি চালাতে দ্বিধা করেনি, তারাই এখন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলছে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, রাম মন্দির ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সমাজবাদী পার্টির ‘যাদব-মুসলিম’ ফর্মুলাতে ভাঙন ধরাতে চাইছে বিজেপি। তবে অখিলেশও পাল্টা হিন্দুত্বের ছক কষে এগোতে চাইছেন। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছিলেন যে মোদীর উদ্বোধন করা কাশীর বিশ্বনাথ করিডোর তাঁর সরকারেরই প্রকল্প। এই নিয়ে বিজেপিও পাল্টা তোপ দেগেছিল সাইকেল বাহিনীকে।