অমরনাথ গুহার কাছেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল হড়পা বানে ভেসে যায় বহু পূণ্যার্থীর তাঁবু। এর জেরে নিখোঁজ বহু। আহত বহু। আহতদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ ভোরে ১০ জন আহত তীর্থযাত্রীকে পবিত্র গুহা থেকে বালতাল বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে আইএমডি আরও একটি হড়পা বানের পূর্বাভাস দিয়েছে অমরনাথে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে সমস্ত হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালের সব স্টাফ ও ডাক্তারদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। এদিকে নিখোঁজদের সন্ধানে সেনাবাহিনী উদ্ধার কুকুর মোতায়েন করেছে। সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন এবং বিএসএফ, এনডিআরএফ এবং সিআরপিএফ সহ বিশেষ বাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন উদ্ধার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। সেনা আধিকারিক উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, ‘তল্লাশি চলছে এবং আশা করা যাচ্ছে আরও মানুষকে উদ্ধার করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নালা থেকে উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা এখন ভালো।’
সূত্রের খবর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ আচমকাই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। এরপরই আচমকা হড়পা বান এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। অন্তত ২৫টি তাঁবু ভেসে গিয়েছে। খবর পেয়েই নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। আপাতত সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রা স্থগিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী গোটা ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনডিআরএফ, বিএসএফ, এসডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া সেনার ৬টি উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।