বছর ঘুরলেই গুজরাতে বিধানসভা ভোট। তার আগে, নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে লেখা 'মোদী অ্যাট টুয়েন্টি ড্রিমস মিট ডেলিভারি' বইটির প্রকাশনার প্রাক্কালে কার্যত মোদী স্তূতি তুঙ্গে রাখলেন অমিত শাহ। গুজরাতের দুই ভূমিপুত্র নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে সামনে রেখেই আগামী ২০২৪ লোকসভা ভোটও এগিয়ে যেতে চায় বিজেপি। সেই জায়গা থেকে এদিন অমিত শাহের বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, প্রকৃত 'রাষ্ট্রনেতা' বলতে যা বোঝায় তাকে সঠিক রূপ দিতে নীলনক্সা তৈরি করে এগিয়ে চলেছেন মোদী।
একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, এর আগে রাষ্ট্রনেতা বলতে যাঁদের জানা যেত, তাঁরা কেউই এর সঠিক যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি। অমিত শাহের কথায়, সেই সমস্ত নেতারা কেবলই নির্বাচন জিতে গিয়েছেন মাত্র। তিনি বলেন, এই সমস্ত নেতারা নিশ্চিত কোনও লোকসভা আসন থেকে শুধুই ভোট জিতেছেন মাত্র। একধাপ এগিয়ে অমিত শাহ বলেন, এমন নেতাদের পরিচিতি কতটা প্রকৃত, তা ফের একবার প্রকাশ্যে চলে আসে যখন ২০১৪ সালে বিশাল জনসমর্থন নিয়ে মোদী লোকসভা ভোট জেতেন। অমিত শাহ বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের রাষ্ট্রনেতা হিসাবে তকমা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে নেতাদের রাষ্ট্রনেতা বলা হয়েছে, তাঁদের এই তকমা দেওয়া তকমার অপমানসম, বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রূপা পাবলিকশনের তরফে প্রকাশিত 'মোদী অ্যাট টুয়েন্টি ড্রিমস মিট ডেলিভারি' বইটি আগামী ১১ মে প্রকাশিত হবে। বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই বইটির বিভিন্ন অংশ লেখেন।
এই আপেলে ঠিক কী দেখতে পাচ্ছেন? নজরই বলে দেবে আপনার মনে এখন কী ঘটছে!
এদিকে, এদিনের সভায় কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ১৯৫২ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে ভারতে যে সমস্ত পার্টি জিতেছে বা প্রধানমন্ত্রীরা এসেছেন, তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তী সময়ে লাভ পেয়েছেন, পেয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি মানুষের ভালবাসার সুবিধা। এই প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালের 'গরিবি হটাও'-এর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। ‘গরিবি হটাও’কে ফাঁকা আওয়াজ বলে আখ্যা দেন অমিত শাহ। এরইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্তূতিতে অমিত শাহ বলেন, মোদীর সঙ্গে দেশের সমস্ত এলাকার সমস্ত মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। তিনি ' অক্লান্তভাবে সারা ভারত যআত্রা করে সমস্ত মানুষের কথা শুনেছেন খোলা মনে।' একইসঙ্গে তিনি মোদীর আমলে আসা স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযান থেকে শুরু করে একাধিক সুবিধার কথা তুলে ধরেন। অমিত শাহ বলেন, বিজেপির উত্থানেও মোদীর গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, বিজেপির সদস্যপদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারের পরামর্শ একমাত্র মোদীই তাঁকে দিয়েছিলেন। নিজের সমস্ত স্বার্থ ছেড়ে কিভাবে মোদী পার্টিকে সামনে রেখে এগিয়েছেন তার খতিয়ান দেন অমিত শাহ।