ফের এক নিট পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হল রাজস্থানের কোটায়। ২২ বছর বয়সী ছাত্রীটি ন্যাশনাল এলিজেবিলিটি টেস্ট কাম এন্ট্রান্স টেস্টের (নিট) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোমবার রাতে ছাত্রটি আত্মহত্যা করে। এই নিয়ে গত তিনদিনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হল।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের কোচিং হাবে চলতি বছরে এই ধরনের আত্মহত্যার সংখ্যা ২৭। ২০১৫ সালের পর এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ ভবানি সিং বলেন, ‘মেয়েটি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি জওহর নগর এলাকায় একটি হোস্টেলে থাকতেন। দেওয়ালির সময় সে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায় এবং গত সপ্তাহে ফিরে আসে।’
ডিএসপি বলেন, ‘বুধবার রাতে হোস্টেলের ওয়ার্ডেন বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ছাত্রীটিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পান। তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তার বন্ধুরা এবং কোচিং ফ্যাকাল্টিরাও গত কয়েকদিনে তাঁর আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন কি না তা জানায়নি। তাঁর বাবা-মা শহরে পৌঁছানোর পর আমরা তার ঘরে তল্লাশি করতে পারব। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতে, কোটা হল ভারতের পরীক্ষা-প্রস্তুতি ব্যবসার কেন্দ্র। বার্ষিক ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করে সংস্থাগুলি। সারা দেশ থেকে ছাত্ররা দশম শ্রেণির পাঠ শেষ করার পর বিপুল সংখ্যায় এখানে আসে এবং এই আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হয়। তারা স্কুলেও ভর্তি হয়, যার বেশিরভাগই শংসাপত্রের উদ্দেশ্যে।
শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে অংশ নেয়, যা তাঁদের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, NEET এবং JEE-এর মতো প্রবেশিকা পরীক্ষা জন্য তাদের প্রস্তুত করে। পরিবারের থেকে দূরের থাকার জন্য কিছু পডুয়া মানসিক চাপের মধ্যে থাকে।
তিন দিন আগেই বাংলার এক NEET-এর পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ২০ বছর বয়সি ছাত্রটি ভাড়া বাড়িতে থাকত।
মঙ্গলবার, জেলা শাসক মহাবীর প্রসাদ মীনা কোচিং সেন্টারের কাছে তিন দিনের মধ্যে এই ঘটার ব্যাখ্যা চান, কোচিং সেন্টারটি জানায় ব্যর্থতার জন্য যে ছাত্রটি ‘গুরুতরভাবে বিষণ্ণ’ ছিল এবং ইনস্টিটিউটে তার কাউন্সেলিং চলছিল ।
কোটা গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের এক ১৬ বছর বয়সী ছাত্র বিষ খেয়ে মারা যায় এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ডের আরেক ছাত্র মারা যায়। দুটি ঘটনাই বিজ্ঞান নগর এলাকায় ঘটেছিল।