প্রিয়াঙ্কা দেব বর্মণ: আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ত্রিপুরায়। নরেন্দ্র মোদীর উত্তর-পূর্ব সফরে সেই নির্বাচনী দামামা বেজে গিয়েছে। তবে সফরকালে মোদীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় ত্রিপুরার বিরোধী দলগুলি। সোমবার ত্রিপুরার বিরোধী দলগুলি বলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে জনগণ নতুন কোনও দিশা খুঁজে পাবেন না। বরং মোদীর বক্তব্য নতুন বোতলে পুরানো মদের মতো ছিল।
এর আগে রবিবার রাজ্যে পা রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে ত্রিপুরা একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য গেটওয়ে এবং উত্তর-পূর্বের লজিস্টিক হাব হিসাবে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে। ডবল-ইঞ্জিন সরকারের অগ্রগতির কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন মোদী। তিনি একটি ডেন্টাল এবং একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রবিবার।
এই আবহে মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জি-২০ বৈঠকে ভারতীয় গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। বাস্তবে, ত্রিপুরায় সংসদ, পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকেছে।’ এদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ‘সবাই ভেবেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসে নতুন কিছু ঘোষণা করবেন। কিন্তু তিনি নতুন কোনও ঘোষণা করেননি।’
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘লোকেরা কিছু নতুন ঘোষণা শোনার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছিল। কিন্তু তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য সমস্ত পুরানো কথা বলে গেলেন। নতুন বোতলে পুরোনো মদের মতো ছিল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য।’ অপরদিকে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, ‘জনগণকে সমাবেশে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল, কিন্তু অনুষ্ঠানটি একটি বড় ফ্লপ ছিল। মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল কিন্তু তারা হতাশ হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য নতুন বোতলে পুরানো মদের মতোই ছিল।’