ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’–এর অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের যুব নেত্রীকে থানায় নিয়ে যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।সায়নী থানায় ঢোকার পরই থানা লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। লাঠি হাতে হেলমেট পরে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়িতে চালকের পাশের আসনেই বসেছিলেন তিনি। সেইসময় যানজটে আটকে যায় তাঁর গাড়ি। গাড়িতে পিছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ায় আশেপাশের লোকেরা সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন ও ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা তৃণমূল নেতা–নেত্রীরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের তরফে অভিযোগ, ঠিক তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন। সেই সূত্র ধরেই রবিবার পুলিশ তৃণমূল নেতা–নেত্রীদের হোটেলে হানা দেয়। সায়নী-সহ বাকি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। সায়নী-সহ প্রত্যেককেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে কোনও নোটিশ ছাড়াই সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, এটা বিজেপির দেউলিয়াপানা। তাই এই সব করা হচ্ছে। এর আগে আগরতলায় তৃণমূলের সভায় মাইক ও আলো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগে আগরতলা পুরসভার ইন্দ্রনগরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের সভায় প্রচার করতে এসেছিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। সভা বানচাল করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর আগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের করা হয়