অনিরুদ্ধ ধর
দিন কয়েক আগেই এনডিটিভিতে প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী সচিন পাইলটকে গদ্দার বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আর মঙ্গলবার সেই সচিন পাইলট আর অশোক গেহলট দুজনকেই দেখা গেল পাশাপাশি বসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করতে। তবে কি সব দ্বন্দ্ব মুছে কাছাকাছি আসছেন পাইলট ও গেহলট?
আগামী ৪ ডিসেম্বর রাজস্থানে আসবেন রাহুল গান্ধী। হবে ভারত জোড়ো যাত্রা। উভয় নেতাই স্বাগত জানালেন এই পদযাত্রাকে। জয়পুরের সাংবাদিক বৈঠকে পাইলট বলেন, সর্বোচ্চ উৎসাহের সঙ্গে রাহুল গান্ধী ও ভারত জোড়ো যাত্রাকে স্বাগত জানানো হবে। রাজ্য়ে ১২দিন থাকবে এই যাত্রা। সমাজের সব শ্রেণিকে সঙ্গে নিয়ে এটি একটি ঐতিহাসিক যাত্রা।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী সব দ্বন্দ্বের জল্পনায় জল ঢেলে বলেন, যদি রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা দুজনেই সম্পদ, তবে আমরা দুজনেই সম্পদ। সমস্ত কর্মীরাই সম্পদ। আমরা সকলে মিলেই এই যাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলব। আমরা ২০২৩ সালের নির্বাচনে জিতব। পরিবেশ আমাদের পক্ষেই রয়েছে।
এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক( সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। অশোকজী ও সচিনজী উভয়েই বলছেন রাজস্থানে কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ। রাহুল গান্ধীই সঠিকভাবেই বলেছেন, অশোক গেহলট ও সচিন পাইলট উভয়ই দলের সম্পদ।
সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন উভয় নেতাই আমাদের দলের সম্পদ। গেহলট ও সচিন পাইলটের মধ্য়ে নানা বিষয়ে মতানৈত্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, এই ব্যাপারগুলি যাত্রাকে প্রভাবিত করবে না। উভয় নেতাই আমাদের কংগ্রেসের সম্পদ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই গেহলট এনডিটিভিতে জানিয়েছিলেন, পাইলট একজন গদ্দার। তিনি ২০২০ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সরকারকে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এই কাদাছোঁড়াছুড়ির মধ্যেই একেবারে পাশাপাশি বসলেন দুই নেতা। তবে কি দুপক্ষকে সাময়িক মিলিয়ে দেওয়া মূল কারিগর রাহুল গান্ধীই?