জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগদানের কথা নিজেই জানিয়েছিল ছাত্র। সেই তথ্য পেয়ে আইআইটি গুয়াহাটির ওই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। অসম পুলিশের এসটিএফ আইআইটি গুয়াহাটির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তৌসিফ আলি ফারুকিকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে একটি কালো রঙের পতাকা উদ্ধার হয়েছে, যা অনেকটা আইএস জঙ্গি সংগঠনের মতো। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এসটিএফ।
আরও পড়ুনঃ বড় সাফল্য NIA-র, আটক হল বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত: রিপোর্টে
জানা গিয়েছে, তৌফিক দিল্লির ওখলার বাসিন্দ। গুয়াহাটি আইআইটির হস্টেলে তিনি থাকতেন। এরপর আচমকা সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। এরই মধ্যে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আইজি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে ওই ছাত্র মেইল করে জানান, তিনি আইএসে যোগদানের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানের খোরাসান প্রদেশে যাচ্ছেন। এরপরেই তার খোঁজে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আইআইটি কলেজ থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা থেকে তাকে আটক করে এসটিএফ।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চিঠিতে ফারুকির উগ্র বিশ্বাস এবং সমাজ ত্যাগ করার তার পছন্দের কথা তুলে ধরেছেন ওই ছাত্র। আইএসআইএস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ‘হিজরাত’ এবং গোষ্ঠীর জন্য লড়াই করার উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্র। চিঠিতে তার পরিকল্পিত ভ্রমণের পথও প্রকাশ করেছে ছাত্রটি। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র গুয়াহাটির পান বাজার থেকে শুরু করেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গুয়াহাটির এসটিএফ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কাছ থেকে আইএস পতাকার মতো একটি কালো রঙের পতাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন পুলিশ আধিকারিক। যদিও উদ্ধার হওয়া পতাকা আইএসের কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও জানা গিয়েছে, চিঠিতে তৌসিফ অন্যান্য যুবকদেরও ISIS যোগদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি ধর্মান্তরিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন ওই যুবক। চিঠিতে কুরআনের একাধিক আয়াতের ব্যাখ্যা করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছে ওই যুবক। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ মার্চ ভারতে দুই শীর্ষস্থানীয় আইএসআইএস নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। জানা গিয়েছে , তারা যারা অসমের ধুবরি এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। এসটিএফ তল্লাশি চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল।