একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। আতিক আহমেদ আর তারই ভাই আশরফ। মৃত্য়ু হয়েছিল দুজনেরই। শনিবার রাতে পুলিশি ঘেরাটোপে মিডিয়ার সামনে গুলি করা হয় তাদেরকে। তাতেই মৃত্যু হয় দুজনের। অবশেষে প্রয়াগরাজে কবর দেওয়া হল দুজনের দেহ। কড়া পুলিশ পাহারায় তাদের দেহ কবরস্থ করা হয়েছে।
কোথাও যাতে কোনও অশান্তি না হয় তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। রবিবার প্রয়াগরাজে তার দেশের বাড়িতে দুজনের দেহ কবর দেওয়া হয়েছে। আতিকের নাবালক ছেলেকে আনা হয়েছিল এলাকায়। একটি জুভেনাইল হোম থেকে তাকে আনা হয়েছিল কবরখানার কাছে। বাবা কাকার দেহের সামনে আনা হয় তাকে।
এদিকে আতিকের ছেলে আসাদকে এর আগে পুলিশ এনকাউন্টারে মেরে ফেলেছিল। তার দেহও ওই একই জায়গায় কবর দেওয়া হয়েছিল। তার কাছাকাছি আতিক ও তার ভাইয়ের দেহ কবর দেওয়া হয়।
এদিকে এর আগে আতিকের ছেলে আসাদ ও তার সঙ্গী মহম্মদ গুলাম হাসানের দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল প্রয়াগরাজে। গত ১৩ এপ্রিল ঝাঁসিতে পুলিশ এনকাউন্টারে তাদের মেরে ফেলে। এরপর শনিবার তাদের দেহ আনা হয়েছিল। আসাদের দেহ কাসারি মাসারি এলাকায় কবরস্থ করা হয়। তার সঙ্গী গুলামের দেহ মেহেনদুয়ারি এলাকায় কবর দেওয়া হয়। দুজনের দেহ আনার পরে আসাদের দেহ সবার আগে কবরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। কবরস্থানের মধ্যে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল। পুলিশ পাহারায় দেহ কবরস্থ করা হয়।
এদিকে কবর দেওযার সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা গেটের কাছে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন। তারা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ অনুরোধ করে আপনারা বাড়ি চলে যান। এদিকে কবর দেওয়ার সময় তার কয়েকজন আত্মীয় এসেছিলেন।
এবার সেই এনকাউন্টারে মারা যাওয়া ছেলের পাশে শোয়ানো হল বাবা আতিক ও কাকা আসরফের দেহ। সেখানেই তাদের দেহ কবরস্থ করা হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় ঘিরে ফেলে। কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন এই কবরখানায়। তাদের উপস্থিতিতে কবর দেওয়া হয় দুজনের দেহ।
শনিবার ছিল আসাদের শেষকৃত্য়ের দিন। সেদিন মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল বাবা আতিককে। চারদিকে পুলিশের ঘেরাটোপ। কড়া পুলিশি পাহারা। সেই সময় আচকাই আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। ক্য়ামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। পরে ধরাও পড়েছে দুষ্কৃতীরা।
গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল আতিক ও তার ভাই আশরাফের। তবে ইতিমধ্য়েই দুষ্কৃতীদের কথা সামনে আসছে। তাদের পরিচয় নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। তারা নাকি ধর্মীয় স্লোগান দিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। গুলি চালানোর পরেই তাদের ধরে ফেলে পুলিশ। সেই আতিক ও তার ভাইয়ের দেহ এবার কবরস্থ করা হল।