বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Babri Masjid Demolition Case: জন্মদিনের পর মিলল স্বস্তি, বাবরি ধ্বংসের ঘটনায় লালকৃষ্ণ আডবাণীর বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ HC-এ

Babri Masjid Demolition Case: জন্মদিনের পর মিলল স্বস্তি, বাবরি ধ্বংসের ঘটনায় লালকৃষ্ণ আডবাণীর বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ HC-এ

লালকৃষ্ণ আডবাণী (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী সহ ৩০ জনেরও বেশি জনকে বেকসুর খালাস করেছিল 

একদিন আগে ৮ নভেম্বরই জন্মদিন ছিল বিজেপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নেতা তথা দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর। আর তার একদিন পরই আদালতে বড় স্বস্তি পেলেন বিজেপির লৌহপুরুষ। ২০২০ সালে এক বিশেষ সিবিআই আদালত বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী সহ ৩০ জনেরও বেশি জনকে বেকসুর খালাস করেছিল। সেই রায়ের বিরোধিতা করে এলাহাবাদ হাই কোর্টে অপরাধমূলক আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। এর আগে এই আবেদনের প্রেক্ষিতে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল গত ৩১ অক্টোবর। আজ এই মামলার আবেদন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্টের জাস্টিস রাজেশ সিনহা এবং জাস্টিস সরোজ যাদবের ডিভিশন বেঞ্চ।

এলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদনকারী দুই ব্যক্তি হলেন হাজি মাহমুদ আহমেদ এবং একলাখ আহমেদ। দুই আবেদনকারীর দাবি ছিল, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংসের ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছিলেন তাঁরা। আবেদনে তাঁদের আরও দাবি ছিল, সেই ঘটনার জেরে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। আবেদনকারী একলাখের দাবি ছিল, বাবরি ধ্বংসের পর তাঁর বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২৮ বছরের অপেক্ষার পর ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হন আডবাণী সহ ৩২ জন অভিযুক্ত। অডবাণী, কল্যাণ সিংদের বেকসুর খালাস করে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত বলেছিল, মসজিদ ভাঙার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছিল, অভিযুক্তরা সমাজবিরোধীদের এই কাজ থেকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট বলে দেয় যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতায় রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হলেও তা গৃহীত হয়নি শীর্ষ আদালতে। এরপরে ২০২০ সালের ৫ অগস্ট মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বন্ধ করুন