কাঞ্চন চৌধুরী
৪১ বছর বয়সি ভিলে পার্লের বাসিন্দা এক ব্যক্তি তাঁর ৯ বছর বয়সি মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল যে তাঁর স্ত্রী নানা ধরনের অবৈধ কাজ, পরকিয়া সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত। সেকারণে তিনি তাঁর মেয়েকে তাঁর সঙ্গে রাখতে চান। তবে আদালত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
বিচারপতি রাজেশ পাতিল তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কোনও মহিলার পরকিয়া সম্পর্ক থাকলেও তার জেরে তিনি নিজের সন্তানকে তাঁর সঙ্গে রাখতে পারবেন না এমনটা নয়।
বিচারপতি জানিয়েছেন, মহিলার এই ধরনের আচরণের জেরে ডিভোর্স হতে পারে। কিন্তু তার জন্য় তিনি তাঁর সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না তেমনটা নয়। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোনও মহিলা ভালো স্ত্রী না হতে পারেন তবে তিনি হয়তো ভালো মা হতে পারেন।
২০১০ সালেরর ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ২০১৫ সালে তাঁদের কন্যা সন্তান হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। ওই মহিলা দাবি করেন তাঁকে জোর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আবার তাঁর স্বামী দাবি করেছিলেন ওই মহিলা নিজের ইচ্ছায় চলে গিয়েছেন।
ওই ৩৯ বছর বয়সি পেশায় চিকিৎসক। তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেছিলেন। এরপর স্বামী নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে ডিভোর্সের মামলা করেছিলেন। এদিকে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন যে সন্তানকে তিনি নিজের কাছে রাখতে চান।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সাল পারিবারিক আদালত জানিয়ে দেয় যে ওই কন্যা সন্তানকে মায়ের কাছে দিতে হবে। তবে স্বামী আবার আবেদন করেন যে সন্তানকে তিনি নিজের কাছে রাখতে চান। এদিকে ওই ব্যক্তি আইটি সেক্টরে চাকরি করেন। তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পরে তিনি হাইকোর্টে যান।
স্বামী দাবি করেছিলেন যে মায়ের কাছে মেয়ে একেবারেই ভালো থাকবে না কারণ মায়ের একাধিক সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে মেয়েকে রাখাটা ঠিক হবে না। তবে এরপর ওই মহিলা পালটা দাবি করেন যে তিনি এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছেন। এটা একেবারেই ঠিক নয়।
তবে বিচারপতি স্বামীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন একাধিক নজির দেখা গিয়েছে যে একজন খারাপ স্ত্রী মানেই খারাপ মা নন।