ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে 'ওয়াটার বাস' ডুবে মৃত্যু কমপক্ষে ৪ জনের। দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। জানা গিয়েছে রবিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের রাজধানীতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ওয়াটার বাসে কমপক্ষে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তবে নদীতে সেটি ডুবে গেলে অনেক যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে চলে আসেন। তবে অনেকেই তা করতে পারেননি। এই আবহে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। দমকলকর্মীরা উদ্ধারকাজে নামেন। ঢাকা দমকলের কর্তা আনওয়ারুল ইসলাম জানান, রাত পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে সাতজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। একাধিক বোটে করে বুড়িগঙ্গা জুড়ে উদ্ধারকাজ চলে রাতভর। ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। (আরও পড়ুন: বুলডোজারের পর রকেট হামলা! পাকিস্তানের সিন্ধে ফের ধ্বংস করা হল হিন্দু মন্দির)
দমকলের তরফে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, রবিবার স্থানী সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ লালকুঠি ঘাট থেকে কেরানিগঞ্জের তেলঘাটেউ উদ্দেশে রওনা দেয় ওয়াটার বাসটি। যাত্রাপথে একটি মাঝ নদীতে বালি বোঝাই বাল্কহেডের সঙ্ ধাক্কা লাগে ওয়াটার বাসের। ধাক্কার জোর সামলাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীবোঝাই ওয়াটার বাসটি উলটে যায়। ডুবে যাওয়ার সময়ে ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরে আর্ধেকের মতো যাত্রী সাঁতার কেটেই তীরে উঠে আসেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকার্যে নামেন নৌ পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে ডুবুরিও নামানো হয় রাতে।
উদ্ধার চলাকালীন ৪ জনের মৃতদেহ তীরে তুলে নিয়ে আসেন উদ্ধাকারীরা। সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওয়াটার বাসে যাত্রী সংখ্যা অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে বেশি ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কায় টাল সামলাতে পারেনি ওয়াটার বাসটি। তাই খুব দ্রুত এটি ডুবে যায়। এদিকে যে বাল্কহেডটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওয়াটার বাসটি ডুবে গিয়েছে সেটিকে আটক করা হয়েছে।