মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ঠিক কতটা সেটা কারও জানতে বাকি নেই। কিন্তু সেই অবদান অনেকেই ভুলিয়ে দিতে চাইছে জোর করে। পাকিস্তানপন্থী বেশ কিছু সংগঠন উঠে পরে লেগেছে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য। তারাই এখন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এর গ্রেফতারির জন্য দাবি করছে। তাদের মতে বিদেশমন্ত্রী নাকি রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছেন! এমনটাই দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন।
জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন যে শেখ হাসিনার সরকার যাতে বাংলাদেশে টিকে থাকে তার জন্য তাঁরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করবেন। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গর্ব। তিনি ক্ষমতায় থাকলে তবেই বাংলাদেশ ক্রমশ উন্নতির দিকে এগোবে। সাম্প্রদায়িকতা দূর হবে এই দেশ থেকে। গড়ে উঠবে ভাতৃত্বের সুদৃঢ় বন্ধন। এছাড়াও তিনি জানান অনেকেই তাঁকে ভারতের দালাল বলেন কারণ তিনি যা বলার স্পষ্ট বলেন। এছাড়াও অনেক কিছু হয়, সেগুলোর বিষয় তিনি কোনও মত দেন না।
মোমেন এই কথা বলার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম নামক ইসলামী আন্দোলনের এক কর্মী বলেন বিদেশমন্ত্রীকে যত দ্রুত সম্ভব মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কার করতে হবে। বাংলাদেশের স্বার্থের জন্যই নাকি এমনটা করা প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করছেন, কারণ মোমেন নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর গ্রেফতারির দাবিও করেন তাঁরা। এই সংগঠন আরও অভিযোগ করে মুক্তিযুদ্ধে যে দল নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই দলই এখন দেশের স্বাধীনতা বন্ধক রেখে নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে চাইছে।
এই সংগঠনের মতে, কোনও রাষ্ট্র কে পরিচালনা করবে, কোন দল ক্ষমতায় থাকবে সেটা ঠিক করবে জনগণ। বিদেশমন্ত্রী কখনই সেটা করার জন্য অন্য কোনও দেশের থেকে সাহায্য চাইতে পারেন না। তাই তিনি এ হেন মন্তব্য করে বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন বলেই অভিমত তাঁদের। তাই গ্রেফতার করা উচিত তাঁকে, এই দাবিই জানিয়েছেন তাঁরা।