বিশ্বের সব চাইতে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ফেসবুক। নেটিজেনরা কোনও পোস্ট কিম্বা কমেন্টে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গেলে, সাধারণত ডিজিটাল ইমোজির ব্যবহার করে থাকেন। যা আগেভাগেই মজুত করা থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোতে।নেটিজেনরা দুঃখ, হাসি, কান্না, রাগ নিজেদের নানা ধরনের অভিব্যক্তি বাক্যব্যয় না করে ইমোজির মাধ্যমে একে অপরকে বুঝিয়ে দেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার ‘হা হা’ ইমোজিই এখন বাংলাদেশের এক মৌলবির নজরে ‘হারাম’। তিনি এই ইমোজির ব্যবহারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এমনকী, এই ইমোজির বিরুদ্ধে ফতেয়াও জারি করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া খ্যাত বাংলাদেশের মৌলবি আহমেদউল্লাহর প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। প্রায় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলোতে তাঁকে ধর্মীয় প্রচার করতেও দেখা গিয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ফেসবুক-ইউটিউবে তাঁর তিন কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
শনিবার আহমেদউল্লাহ তিন মিনিটের দীর্ঘ ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এই ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ২০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।
ভিডিওতে তিনি ফেসবুকে মানুষকে ঠাট্টা করা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, ‘হা হা’ ইমোজির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে তিনি বলেন যে, ‘এটি মুসলমানদের জন্য হারাম।’
ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘আজকাল আমরা মানুষের সঙ্গে মজা করার জন্য ফেসবুকের হা হা ইমোজি ব্যবহার করি।’ আমরা যদি হাসতে হাসতে হা হা পোস্ট করি ও যার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট করা হয়েছে, তিনিও সেটিকে মজা হিসেবে গ্রহণ করেন, তবে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আপনার প্রতিক্রিয়া যদি মানুষকে উপহাস করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়, তাহলে ইসলামে তা সম্পূর্ণ হারাম।’
আহমেদউল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহ’র সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে এই কাজ থেকে বিরত রাখুন। লোককে উপহাস করার জন্য হা হা ইমোজি ব্যবহার করবেন না। আপনি যদি কোনও মুসলমানকে আঘাত করেন, তবে তিনি এমন আপত্তিজনক ভাষায় সাড়া দিতে পারেন, যা প্রত্যাশিত নয়।’