গতবছরই ব্যাঙ্ক লকার নিয়ে নয়া নিয়ম চালু করেছিল আরবিআই। সেই অনুযায়ী, গতকাল, অর্থাৎ, ৩০ জুনের মধ্যে ৫০ শতাংশ গ্রাহককে দিয়ে নতুন চুক্তি সই করানোর কথা ব্যাঙ্কগুলির। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ শতাংশ গ্রাহককে দিয়েই নয়া চুক্তিতে সই করাতে হবে ব্যাঙ্ককে। তবে এই চুক্তি নিয়ে চরমে বিভ্রান্তি। একই ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখা আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করছে এই ক্ষেত্রে। কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় গ্রাহক থেকে ব্যাঙ্ক কর্মীরা, সবাই বিভ্রান্ত। অভিযোগ উঠেছে, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও চুক্তির জন্য বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার চাওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের থেকে। এই নিয়ে বিতর্কও তৈরি হচ্ছে। তবে এই যে চুক্তি, তা কী নিয়ে? জানুন এর বিশদ।
আরবিআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী, গ্রাহকদের আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করবে ব্যাঙ্কগুলি। লকারে থাকা কোনও জিনিস ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে তার জন্য আরও বেশি করে দায় বর্তাবে ব্যাঙ্কের উপর। গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে ব্যাঙ্ককে। তবে ভূমিকম্প বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি হলে সেটি আলাদা ব্যাপার। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। ব্যাঙ্ক যে প্রকৃত অর্থেই এই নিয়মগুলি মেনে চলবে, তা জানাতেই গ্রাহকদের সঙ্গে এই চুক্তি করা হবে। এই চুক্তির একটি অনুলিপি দেওয়া হবে গ্রাহকদের হাতে। আসলটি থাকবে ব্যাঙ্কেরই কাছে।
এদিকে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্কের লকারের সমস্ত তথ্য বাইরের ডিসপ্লে বোর্ডে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। অর্থাত্, খালি লকারের তালিকা এবং ওয়েটিং লিস্ট নিয়মিত আপডেট করে জানাতে হবে গ্রাহকদের। লকারের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেটি স্টোর করার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি এবার থেকে ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকের থেকে তিনবছরের লকারের ভাড়া নিতে পারবে। তার বেশি নয়।