কোনও সংকটের সময় রাজনীতি করা উচিত নয়। সদ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এভাবেই বিরোধীদের তোপ দাগলেন করোনা ইস্যুতে। পাশাপাশি সব রাজ্যকে এখসঙ্গে মিলে তৃতীয় ঢেউ প্রতিহত করার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কতটা ভাবেন। আবেগের সঙ্গে বলেন, 'মন্ত্রী হওয়ার আগে আমি কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করা এক মেয়ের বাবা।'
এদিন মনসুখ বলেন, 'কেন্দ্র রাজ্যগুলির থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান একত্রিত করে প্রকাশ করে। কেন্দ্র কোনও রাজ্যকে কোভিড সংখ্যা কম করে দেখাতে বলেনি।' তিনি জানান যে কোভিড নিয়ে তিনিও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, 'আমি একজন বাবা। আমার মেয়ে ইন্টার্ন হিসেবে কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করেছে। সে আমাকে বলেছে যে সে ওই ওয়ার্ডে কাজ করতে চায় এবং সে সেখানেই কাজ করে গিয়েছে। সেই সময় আমি থালি-তালির মর্মও বুঝেছিলাম।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, 'থালি-তালি আমাদের করোনা যোদ্ধাদের সাহস প্রদান করেছিল। আমরা এই সম্মান দেখিয়েছিলাম রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশদের যাঁরা আমাদের সুরক্ষার জন্যে দিনরাত কাজ করেন। একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। রাজ্যগুলিকে এটা করতে হবে। এই রাজ্য অন্য রাজ্যের দিকে আঙুল তুললে হবে না। আমি রাজনীতি করতে চাই না, তবে অনেক রাজ্যের কাছেই এখনও ১০ থেকে ১৫ লাড কোভিড ডোজ বেঁচে আছে। আমার কাছে তথ্য আছে। তাও টিকা নেই বলে রাজ্যগুলি গলা চড়ায়।'
এদিকে এক রিপোর্টে বলছে, দেশের প্রায় ৪০ কোটি মানুষের এখনও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে দেশের ৬ বছরের বেশি বয়স এমন দুই তৃতীয়াংশের মধ্যেই করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ করা সেরো সার্ভে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশের মোট ৬ বছরের বেশি বয়সি মানুষদের মধ্যে ৬৭.৬ শতাংশের মধ্যেই করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমরা সবসময় বলেছি যে সংকটের সময় কোনও রাজনীতি করা উচিত না। যখন তৃতীয় ঢেউয়ের কথা বলি তখন আমরা মনে করি যে, দেশের ১৩০ কোটি মানুষ, সব রাজ্য, সবাই এখসঙ্গে মিলে কাজ করবে। তাহলে এটাকে আমরা রুখতে পারব।'