২০ ঘণ্টার গণনার শেষে অবশেষে বিহারে জয়যুক্ত হয়েছে এনডিএ। অনেক কম আসন পেয়ে বিজেপির সৌজন্যে ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতিশ কুমার। কিন্তু সংযুক্ত জনতা দলের খারাপ ফলাফলের নেপথ্যে মূলত রয়েছে চিরাগ পাসওয়ান ফ্যাক্টর।
চিরাগের লোকজনশক্তি পার্টি হয়তো মাত্র একটি আসন পেয়েছে কিন্তু জেডিইউ-কে হারিয়ে দিয়েছে ২৭ আসনে। প্রসঙ্গত, গতবারের চেয়ে জেডিইউ ২৮ আসন কম পেয়েছে! অর্থাৎ জেডিইউ-র খাতে এলজেপি-র ভোটগুলি এলে অনেক সহজেই ফের মসনদে বসতেন নীতিশ।
ভোটের ঠিক আগেই এনডিএ ছাড়েন চিরাগ পাসওয়ান। তিনি বলেন বিজেপির সঙ্গে সমস্যা নেই কিন্তু নীতিশকে আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না। জেডিইউ-র সব আসনে প্রার্থী খাড়া করে এলজেপি। এবছর ৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। কিন্তু এরকম হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনে অনেক আসনে হার-জিতের মধ্যে ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে এলজেপি।
হিন্দুস্তান টাইমসের হিসেব অনুযায়ী, ২৭টি বিধানসভা আসনে এলজেপির জন্য হেরেছে জেডিইউ। অর্থাৎ জয়ী প্রার্থী ও জেডিইউ প্রার্থীর মধ্যে যে ব্যবধান, তার থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এলজেপি প্রার্থী। একই ভাবে ১৭ আসনে আরজেডিকে হারিয়েছে এলজেপি, ১১ আসনে কংগ্রেসকে, চারটি আসনে ভিআইপিকে, তিনটি আসনে সিপিআইএমএলকে ও একটি আসনে বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছে এলজেপি।
সবমিলিয়ে ৬৪ আসনে জয়ী ও বিজিত প্রার্থীর ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে এলজেপি প্রার্থী। এর মধ্যে এনডিএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ আসনে। তবে শেষ বিচারে এনডিএ ক্ষমতায় এলেও কিছুটা প্রতাপ কমল নীতিশের। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে বিজেপির প্রচ্ছন্ন মদতে ভোট লড়েছিল এলজেপি। মোদীও প্রচার এসে এলজেপি নিয়ে বাক্য খরচ করেননি। যদিও বিজেপি বারবার সেই কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল হয়তো খুব একটা অখুশি করবে না বিজেপি নেতাদের।