নীতিশ কুমার স্বেচ্ছাবসর নিচ্ছেন? নাকি অন্য কিছু কারণে ঘোষণা করলেন, ‘এটাই আমার শেষ নির্বাচন'? বিহারের শেষ দফার নির্বাচনের আগেই আপাতত সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচনের প্রচারে বৃহস্পতিবার পূর্ণিয়ায় যান বিহারের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ প্রার্থীর জন্য ভোট চাওয়ার সময় তিনি বলেন, 'এটা আমার শেষ নির্বাচন। শেষ ভালো তো সব ভালো। এবার বলুন, ভোট দেবেন কিনা।'
নীতিশের সেই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। যদিও বিরোধীদের দাবি, প্রথম দু'দফার নির্বাচনে উন্নয়ন-সহ একাধিক তাস খেলেছেন। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না বলে শেষ দফার নির্বাচনের আগে বাধ্য হয়ে আবেগের শরণাপন্ন হয়েছেন নীতিশ। আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যু়ঞ্জয় যাদব বলেন, ‘তেজস্বী প্রসাদ যাদব তো প্রথম থেকেই বলছেন যে নীতিশ কুমার ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন এবং বিহারকে সামলাতে অক্ষম। সহানুভূতি পাওয়ার শেষ চেষ্টা হিসেবে সেটা নিজেই স্বীকার করে নিলেন। আগামী ১০ নভেম্বর কী হতে চলেছে, তা তিনি জানেন। তাঁর হাতে যে বেশিদিন পড়ে নেই, সেটাও জানেন। মানুষ তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর নীতিশ কুমারও জানেন, মানুষ তাঁকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন এবং তাঁর সময় ফুরিয়ে এসেছে।’
জেডিইউ মুখপাত্র এবং মন্ত্রী নীরজ কুমার অবশ্য নীতিশের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, 'উনি মাঝেমধ্যেই বলেন যে কোনও কিছু স্থায়ী নয়। উনি সবসময় মনের কথা বলেন। উনি কিছুটা ভিন্ন স্বাদের রাজনীতির জন্য পরিচিত। উনি আগেও রেলমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়েছেন। উনি মানুষের জন্য বাঁচেন এবং সেটাই সর্বদা করে এসেছেন।'
সহানুভূতির পাশাপাশি অবশ্য আরও একটি জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি নীতিশ ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন যে বিজেপি বেশি আসন পেলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে? তা নিয়ে বিজেপির তরফে সরাসরি কিছু বলা হয়নি। বরং আগের অবস্থানে অনড় থেকেই নীতিশই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সঞ্জয় ময়ূখ। তিনি বলেন, 'মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে উনি আবারও পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসবেন। যা তাঁর সঙ্গে সর্বদা আছে। তারপর উনি সিদ্ধান্ত নেবেন।'