ইদানিং নীতীশ কুমারের একাধিক পুরানো ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমাজ পর্যবেক্ষক এনকে চৌধুরী জানিয়েছেন, এক ধাক্কায় বন্ধু শত্রু হয়ে গিয়েছে। তবে বিজেপি যে খুব হতবাক হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। কারণ এর আগেও নীতীশ কুমার এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে নীতীশের এই পালটি খাওয়ার এখানেই শেষ এমনটা নয়। আগামী দিনেও তিনি পালটি খেতে পারেন। আর জাতীয় রাজনীতিতে নীতীশ কুমার প্রাসঙ্গিক হয়ে গেলেন এমন বলার মতো সময়ও এখনও আসেনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডিএম দিবাকর জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে নীতি বলে কিছু নেই। আরজেডি আর জেডিইউ জোটটা এমন সময়ে হল যে বর্তমানে একাধিক রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। তবে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এই মহাজোট ২০২৪ পর্যন্ত টিকে যেতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডিএম দিবাকর জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে অমিত শাহ নীতীশ কুমারকে আন্ডার এস্টিমেট করতেন। কিন্তু নীতীশ কুমার কতটা লাভজনক জায়গায় থাকবেন সেটাই প্রশ্নের। পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে কতটা চাপে রাখতে পারবেন, কতটা তিনি কম হারাবেন সেটাও একটা প্রশ্ন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সঞ্জয় জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে বিজেপি দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ২০২৪ সাল নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। বিজেপি কোনও একক ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়। এটা ক্যাডার ভিত্তিক দল। কিন্তু এটা ঠিক যে যে আরজেডি হাত ধরেছে জেডিএউ সেই RJD আগামীদিনে নীতীশ কুমারের মতো মানুষকে ফেলে দেবেই।