সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিহারে আবগারি আইনে একাধিক রদবদল করা হয়েছে। বেআইনী মদ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রেও নিয়মের কিছু বদল করা হয়েছে। বর্তমানে বলা হচ্ছে যেখান থেকে বেআইনী মদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে শুধু সেই জায়গাটিকেই সিল করা হবে। পুরো বিল্ডিংটি সিল করার প্রয়োজন নেই। তবে যেখানে মদ তৈরি হচ্ছে বা প্রচুর পরিমাণে মদ কেনা বেচার জন্য মজুত করা হয়েছিল সেক্ষেত্রে অবশ্য এই নতুন নিয়ম খাটবে না। তবে এক্ষেত্রে পুরো বিল্ডিংটাই সিল করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন আইনে ক্যান্টনমেন্ট ও মিলিটারি স্টেশন এলাকায় মদ মজুত করা যাবে। তবে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাইরে মদ বহন করা বা খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধটা থেকেই গিয়েছে।
তবে দফতর সূত্রে খবর, ক্য়ান্টনমেন্ট এরিয়ার মধ্য়ে আগেও মদ মজুত করে রাখার সুযোগ ছিল। কিন্তু এই এলাকার বাইরে মদ নিয়ে মাতলামো করা বা ক্য়ান্টনমেন্ট থেকে মদ বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাইরে কাউকে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এক্সাইজ কমিশনার বি কার্তিকেয় ধনজী একথা জানিয়েছেন।
আবগারি কর্তাদের মতে, আসলে বাস্তবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবগারি আইনকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন নিয়মে এক্সট্রা নিউট্রাল অ্যালকোহল ও ইথানল তৈরির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কড়া নজরদারির মধ্যেই তা করতে হবে। এই ধরনের ইথানলের যাতে অপব্যবহার না হয় তা রুখতে সিসি ক্যামেরার নজরদারিও রাখা হবে। প্রসঙ্গত এক্সট্রা নিউট্রাল অ্যালকোহল আখ থেকে তৈরি হয়। হুইস্কি, ভদকা, জিন সহ নানা ধরনের মদ তৈরিতে তা কাজে লাগে।