রাজ্য সরকারের মুখ পোড়ানোর পরে তড়িঘড়ি বিতর্কিত চিঠি প্রত্যাহার করে নিল বিহার পুলিশ। ওই চিঠিতে ভিনরাজ্য থেকে ফেরা কর্মহীন শ্রমিকদের সুবাদে বিহারে অপরাধ বাড়বে বলে শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্ম সংস্থান সম্ভব নয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। অথচ মাত্র কিছু দিন আগেই ভিন্ন রাজ্য থেকে ফেরা বিহারের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে ‘পরিযায়ী’ শব্দটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেন, ওঁরা সবাই ভারতের নাগরিক।
তা সত্ত্বেও গত ২৯ মে এই বিতর্কিত চিঠিটি বিহারের সমস্ত পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশে পাঠান রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি অমিত কুমার।
শুক্রবার চিঠিটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নীতিশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদব। তিনি অভিযোগ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছেন। তাঁরই নাকের ডগা দিয়ে যদি এমন চিঠি লেখা হয়, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে যে তাঁর সম্মতিতেই তা লেখা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা আমাদেরই ভাই-বোন। তাঁরা এখানে এসেছেন কারণ এটা তাঁদেরও রাজ্য।’
চিঠির প্রেক্ষিতে সরকারের শ্রমিক বিমুখ মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন এআইসিসি-র এমএলসি প্রেম চন্দ্র মিশ্রও।
এর পরেই বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পান্ডে অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘আমরা নানান সূত্রে খবর পাই এবং এমনই একটি সূত্রের ভিত্তিতেই এই খবরটি পেয়েছিলাম। কিন্তু ভুল বুঝতে পরার সঙ্গে সঙ্গে চিঠিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
রাজ্য পুলিশের তরফে পরে অন্য একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, ’২৯ মে প্রকাশিত চিঠিটি ভুল বশতঃ পাঠানো হ’ছিল। সেটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হল।