অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রুখতে লকডাউনের জেরে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ করছে বিহারের স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা শ্রমিক এবং সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী পরিবারগুলিকে কন্ডোম দেওয়া হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে রোজগার হারিয়ে ঘরমুখী হয়েছেন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। নিজের রাজ্যে ফেরার পরে প্রতিটি শ্রমিককে ১৪ দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বাধ্যতামূলক থাকতে হচ্ছে। বিহারে ফেরত আসা ২৮-২৯ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ৮.৭৭ লাখ শ্রমিককে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এঁরা ছাড়া আরও ৫.৩০ লাখ শ্রমিক আপাতত জেলা ও মহকুমা স্তরে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক সম্প্রতি পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার পরে পরিযায়ী শ্রমিকরা এবার বাড়ি ফিরছেন। এই সময় অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকায় আমরা তাঁদের কাউন্সেল করছি এবং বিপদ এড়াতে কন্ডোম দিচ্ছি।’
তবে কন্ডোম বিতরণের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক। বিষয়টি একেবারেই পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের অন্তর্গত বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকার কেয়ার ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাহায্য নিচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লকডাউনে বিশ্বজুড়ে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের হার ক্রমেই বাড়ছে। এই বিপদ এড়াতেই বিশেষ পরিকল্পনা করেচে বিহারের স্বাস্থ্য দফতর। তবে এই উদ্যোগ বছরভর নি.য়মিত ভাবেই করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বিদায় নেওয়ার সময় প্রত্যেক শ্রমিককে ২ প্যাকেট কন্ডোম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা স্ক্রিনিং করার সময় পরিবারপিছ ২টি কন্ডোমের প্যাকেট বিতরণ করছেন আশা কর্মীরা। উল্লেখ্য, ১৫ জুন বিহারের সমস্ত করোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। তত দিন পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে কন্ডোম সরবরাহ চলবে বলে জানা গিয়েছে।