প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টন অল্পবয়সী তরুণীদের পছন্দ করতেন, এমনটাই দাবি করা হয়েছে নয়া জেফরি এপস্টাইন নথিতে। এপস্টাইন একবার তাঁর হাতে নির্যাতিতা এক তরুণীকে একবার বলেছিলেন ক্লিন্টন ‘লাইকস দেম ইয়ং’। মার্কিন ফিনান্সিয়াল মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত এপস্টাইন ২০০৯ সালে এক নাবালিকার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে যৌনপাচার সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই তিনি জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করেন।
নথিতে জোহানা জোবার্গের সাক্ষ্যের বিবরণ রয়েছে, যিনি অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে ২০ বছর বয়সে ম্যাসেজ থেরাপিস্ট হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাকে একটি কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং কোনও ম্যাসেজ প্রশিক্ষণ ছিল না। জোহানা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে জেফরি তাকে বলেছিলেন যে, ক্লিনটন অল্প বয়সী মেয়েদের পছন্দ করেন। তিনি আরও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে তিনি সমস্ত ম্যাসেজের ২৫-৫০ শতাংশ সময়ে নগ্ন ছিলেন। তিনি আরও যোগ করেছেন যে এপস্টাইন তাকে ম্যাসেজের সময় যৌন ক্রিয়াকলাপ করতে বাধ্য করেছিলেন।
এপস্টাইনের সাথে সম্পর্কিত একটি মামলার শত শত পৃষ্ঠার নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় প্রিন্স অ্যান্ড্রু, বিল ক্লিনটন এবং মাইকেল জ্যাকসনের মতো বড় নাম রয়েছে। এপস্টাইনের বান্ধবী তথা ব্রিটিশ সোশ্যালাইট গিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া গিউফ্রের মামলার অংশ হিসাবে দায়ের করা আদালতের নথিতে এই নামগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। নামগুলি, সিল না করার আগে, আদালতের কাগজপত্রে কোনও নাম ছাড়া তালিকাভুক্ত করাছিল। এর আগেও অনেকের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। গিসলাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনিও যৌন পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি জানিয়েছেন যে এই নামগুলি প্রকাশ্যে না আসার কোনও কারণ নেই তাই সেগুলি জনসমক্ষে আনা হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তালিকায় নাম থাকা প্রতিটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যায়ের অভিযোগ নেই । যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার, মামলার সাক্ষী, এপস্টাইনের কর্মচারী এবং কেলেঙ্কারির সাথে কেবল সংযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন। কিছু নাম গুপ্তও করা রয়েছে, যারা যৌনহেনস্থার স্বীকার হয়েছেন।
নথিতে ৫০ বার বিল ক্লিন্টনের নাম দেওয়া আছে ডো ৩৬ নাম হিসেবে। অভিযোগ দুই অল্পবয়সী তরুণীদের সঙ্গে এপস্টাইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে দেখা যায় ক্লিন্টনকে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিল ক্লিন্টন। তবে অতীতে ফ্লাইট রেকর্ডে দেখা গিয়েছে যে মৃত যৌন হেনস্থাকারীর প্লেনে করে প্যারিস, ব্যাংকক সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ওয়াইট হাউজ ইন্টার্নের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিল ক্লিন্টন। ফের নতুন করে অল্পবয়সী মেয়েদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসে গেল।