অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের সাংগঠনিক সভায় মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে প্রথম মুখ খুলেছেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে তাতে তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বলেই মন্তব্য করেন মমতা। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। যিনি আবার মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব।
দুবে বলেন, ‘দাউদ ইব্রাহিমকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। সেই দাউদ যদি উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে ভোটে দাঁড়ান তবে ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত যে তিনি জিতবেন। তাতে কি তার দেশবিরোধীতার মাত্রা কিছুটা কমবে?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে বলেন, 'এদের (বিজেপির) প্ল্যান মহুয়াকে তাড়ানো! তিন মাস আর বাকি আছে। মহুয়া যেগুলো ভিতরে বলত, এ বার সেগুলোই বাইরে বলবে। মূর্খ না হলে ভোটের তিন মাস আগে কেউ এই কাজ করে।’
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে 'টাকা' নিয়ে সংসদে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। স্পিকারের কাছে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ পাঠিয়েছে কমিটি।
(পড়ুন: বাংলারব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভকে নিয়ে কী পরিকল্পনা? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী)
দুবে দাবি করেছেন, 'মহুয়া মৈত্র তাঁর লোকসভার সাইটের লগইন পাসওয়ার্ড শুধু ব্যবসায়ীর সঙ্গে শেয়ার করেননি, সাইটে একাধিক জায়গা থেকে লগ ইন করা হয়েছিল। সেই জায়গাগুলি হল দিল্লি, বেঙ্গালুরু, সান ফ্রান্সিসকো।'
এথিক্স কমিটির প্রস্তাব এখন স্পিকারের কাছে। সাংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সেই প্রস্তাব লোকসভায় তোলা হতে পারে। সংখ্যাধিক্যের জেরে তা পাশও হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজ হতে পারে।
তবে তৃণমূল যে তা নিয়ে ভাবিত নয়, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে তার। সভানেত্রী পরে মুখ খুললেও মহুয়ার পাশে দল যে আছে তা তাঁরে কৃষ্ণনগরের জেলা সভাপতি করেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।