২৬ জন নার্স এবং ৩ চিকিৎসক Covid-19 পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার পরে সোমবার সিল করে দেওয়া হল মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতাল। তার আগে রবিবার হাসপাতালটিকে অগম্য হিসেবে ঘোষণা করে বৃহন্মুম্বই পুর নিগম (বিএমসি)।
এ দিন হিএমসি-র অতিরিক্ত পুর কমিশনার সুরেশ কাকানি জানিয়েছেন, শহরের আগরিপাডা অঞ্চলের ওই হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি না পেলে তবেই হাসপাতাোনও কর্মীদের বাইরে যেতে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘যথোপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই ৩০০ কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হয়েছে। হাসপাতালের পরিকাঠামোর ভিতরে কী করে এতজনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটল তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।’
সংক্রমণের শিকার নার্সরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই আরও বেশি কর্মীর মধ্যে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। গত ২০ মার্চ Covid-19 আক্রান্ত সন্দেহে দুই রোগীকে কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতাল থেকে ওখার্ডে আনা হয়।
পরীক্ষায় সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পরে তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। পাশাপাশি, সংক্রমণ ঘটেছে বলে সন্দেহের তালিকায় থাকা হাসপাতাল কর্মীদের রাখা হয় জেনারেল আইসিইউ ওয়ার্ডে, যেখানে অন্য রোগীরাও ছিলেন।
২৮ মার্চ ওই জেনারেল আইসিইউ ওয়ার্ডে কর্তব্যরত দুই নার্সের নমুানয় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। কিন্তু দ্রুত আরও ১০ জন নার্সের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, এবং শেষ পর্যন্ত সংক্রমণের কবলে পড়েন মোট ২৬ জন নার্স ও ৩ চিকিৎসক।
ভাইরাস আক্রান্ত এক নার্সের অভিযোগ, ‘জেনারেল ওয়ার্ডে থাকা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেই আমরাও সংক্রামিত হয়েছি।’
জানা গিয়েছে, অন্যান্য রোগীদের আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, সংক্রামিত নার্সদের ব্যবহৃত শৌচাগার, ক্যান্টিন ও হস্টেল ব্যবহার করতে তাঁদের বাধ্য করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, সংক্রামিত নার্সদের কোয়ারেন্টাইনে না রেখে তাঁদের ডিউটি করতে বাধ্য করে বলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।