সরকারের প্রস্তাবিত রুফটপ সোলার স্কিম 'প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা'র সুবিধাভোগীরা প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাবেন বলে বুধবার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
২০২৫ অর্থবছরের অন্তর্বর্তী বাজেট উপস্থাপনের সময়, সীতারামন তুলে ধরেছিলেন যে এই প্রকল্পটি ১ কোটি পরিবারকে তাদের উদ্বৃত্ত সৌর শক্তি বিক্রি করতে সাহায্য করবে। এর ফলে এই পরিবারগুলির বার্ষিক সাশ্রয় হবে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। মোটের ওপর ৩০০ ইউনিট বিদ্যুতের খরচ এতে উঠে আসবে। গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, দেশের ছাদে সৌর বসানোর জন্য নতুন প্রকল্প তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্র।আরইসি এই প্রকল্পটি রূপায়ন করবে এবং ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য সম্মিলিত ১.২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে।
গত মাসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আরইসি-র চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) বিবেক কুমার দেওয়ানগন বলেছিলেন যে সংস্থাটিকে এই প্রকল্পের জন্য় মনোনীত করা হয়েছে এবং এর পরিচালনা পর্ষদ আটটি কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের জন্য প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকার ঋণপত্র অনুমোদন করেছে, যারা বিভিন্ন রাজ্যে সোলার প্যানেল ইনস্টল করবে।
এই প্রকল্পটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন সরকারের ছাদে সৌর ইনস্টলেশনের প্রকল্প গতি পায়নি। গত বছরের মে মাসে জ্বালানি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানিয়েছিল, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ৪০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাত্র ৫.৮৭ গিগাওয়াট ছাদে সৌর প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ১৫ শতাংশেরও কম।
বর্তমানে গ্রিড-সংযুক্ত সৌর ছাদের ক্ষমতা ৭২.৩১ গিগাওয়াটের মোট সৌর ক্ষমতার মধ্যে ১১.০৮ গিগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে, নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী। সরকারের শক্তি রূপান্তর পরিকল্পনার অধীনে, সৌর বিদ্যুৎ ২০৩০ সাল নাগাদ মোট ৫০০ গিগাওয়াটের পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষমতার মধ্যে ২৯২ গিগাওয়াট প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে, সরকার আবাসিক সৌর ছাদ প্রকল্পগুলির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। বাড়ির মালিকদের জন্য এটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে, কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি আবাসিক সৌর ছাদ প্রকল্পগুলির জন্য কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তার মূল্য সংশোধন করেছে। নতুন সুবিধাভোগীরা ন্যাশনাল সোলার রুফটপ পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রকল্পের আওতায় ১০,০০০ টাকা থেকে ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। এখন এই প্রকল্পটি কতটা সাধারণ মানুষের থেকে সাড়া পায়, সেটাই দেখার।