বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য বনাঞ্চল অধিগ্রহণে ছাড়পত্র দিল মহারাষ্ট্র। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (NHSRCL) প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর সতীশ অগ্নিহোত্রী। আর তার ঠিক পর পরই মহারাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ।
সতীশ অগ্নিহোত্রী গত ৭ জুলাই তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন যে NHSRCL-এর উপর জাপানি ঠিকা সংস্থার চাপ ছিল। এই জাপানি সংস্থাই ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের ৮১% অর্থায়ন করছে। তারা মহারাষ্ট্রে কাজ শুরু করার সম্ভাব্য তারিখের অনুরোধ করেছিল। মহারাষ্ট্রের BKC (C-1 প্যাকেজ) এবং সমুদ্রের নিচের টানেলের (C-2 প্যাকেজ) জন্য ভূগর্ভস্থ স্টেশনগুলির জন্য অনুমোদনের বিষয়ে সমস্যা ছিল। আর সেই কারণে বহু দরপত্র বারবার স্থগিত ও বাতিল করতে হয়েছে।
'মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রতি এক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোচ্ছে। ১২.০৭.২০২২ তারিখের এক পর্যালোচনা সভায় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, বিকেসি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন (4.84 হে) এবং ভিক্রোলিতে ৩.৯২ হেক্টর জমি হস্তান্তর সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে তারা সক্রিয়। টানেল শ্যাফটের বিষয়টা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমাধান করা হবে,' জানালেন রেলের এক আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প ত্বরান্বিত করতে সমস্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বন, জমি অধিগ্রহণের সম্পর্কিত ছাড়পত্র ছিল এগুলি।
'বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্র্যাক তৈরি করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার প্রথম পর্যায়ের ছাড়পত্র দিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদনও সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে,' জানালেন রেলের আধিকারিক।
রাজ্য সরকার পালঘরে প্রায় ১.২ হেক্টর জমিতেও অনুমোদন দিয়েছে বলে জানালেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ৯০.৫৬% জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গুজরাটে ৯৮.৮% এবং দাদরা নগর হাভেলিতে ১০০% এবং মহারাষ্ট্রে ৭২.২৫%।
রেল মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত, এই প্রকল্পের গুজরাটের অংশের ৩৫২ কিলোমিটারের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার জুড়ে ভিত এবং পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
'ভাপি এবং সবরমতীর মধ্যে আটটি স্টেশনের কাজও নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে,' জানালেন NHSRCL-এর এক আধিকারিক।
'সবরমতী প্যাসেঞ্জার হাবের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই ভাপি-সাবরমতির মধ্যে ট্রায়াল রান পরিচালিত হবে। ২০২৭ সালেই তা সম্পূর্ণরূপে চালু হয়ে যাবে,' বললেন রেলের আধিকারিক।