সদ্য সাংসদপদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। ২০১৯ সালের এক মন্তব্যের জেরে সুরাট কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। হয়েছে ২ বছরের কারাবাসের সাজা। যদিও রাহুল আপাতাত ১ মাসের জামিনে রয়েছেন। এই ২ বছরের কারাবাসের সাজার কারণে জনপ্রতিনিধি হিসাবে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুলের। এদিকে, রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ার ফলে কেরলের ওয়েনাদ কেন্দ্রে উপনির্বাচন কখন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রশ্নেরই এদিন জবাব দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, কেরলের ওয়েনাদে লোকসভা আসনে উপনির্বাচন করার এখনই তাড়াহুড়ো নেই। উল্লেখ্য, এই আসনটিই সদ্য ফাঁকা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হয়ে যাওয়ায়। উল্লেখ্য, মুখ্যনির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এই প্রসঙ্গে, রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট ১৫১ এর ধারার কথা তুলে ধরেন। সেই ধারা অনুযায়ী, এখনও ছয় মাস সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে একটি নির্বাচন সংগঠিত করার জন্য। রাজীব কুমার বলেন, সাংসদ পর খারিজ হওয়ার পর থেকে ‘রাহুল গান্ধীর কাছে এখনও ৩০ দিন রয়েছে, আমরা সেইমতো ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা পদ খারিজ সম্পর্কে জেনেছি ২৩ মার্চ।’ উল্লেখ্য, এদিন কর্ণাটকে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার ফাঁকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। (আত্মসমর্পণের জল্পনার মাঝে অমৃতপালের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে, মুহূর্তে পদক্ষেপ প্রশাসনের )
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই সাংসদপদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। তারপর থেকেই রাজধানীর রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। কংগ্রেস বনাম বিজেপি এই ইস্যুতে ক্রমাগত তোপ পাল্টা তোপে শামিল হয়েছে। এদিকে, এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমাগত ক্ষোভে ফেটে পড়ছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বিধি অনুযায়ী, ২ বছরের কারাবাসের সাজার জেরে ৮ বছর সংসদে সাংসদ হিসাবে প্রবেশ করতে পরাবেন না রাহুল। তবে, সেই মর্মে রাহুলের বক্তব্য সাফ, কোনও মতেই ২০১৯ সালের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি ক্ষমা চাইবেন না। উল্লেখ্য, রাহুলকে এই সাজা দিয়েছে সুরাটের কোর্ট। পরবর্তীতে এই মামলা কোন আইনি পথে যায়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup