৩৬৫ দিন পার করে ভারতে ১৫৬ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে করোনা টিকার। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ বর্তমানে সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানাল, টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের বক্তব্য, জোর করে কোনও ব্যক্তিকে টিকা নিতে বাধ্য করতে পারে না কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, এভারা ফাউন্ডেশন নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শীর্ষ আদালতে মামলা করে আর্জি জানিয়েছিল, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের টিকাকরণের জন্য কেন্দ্র যেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চালু করে। এই মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, কোও ব্যক্তির অমতে টিকাকরণের কোনও নিয়ম চালু করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে। তাছাড়া টিকাকরণের সার্টিফিকেটও বাধ্যতামূলক করা হয়নি সব সময়ের জন্য। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোনও ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তাকে জোর করে করোনা টিকা দেওয়ার কথা বলেনি। তবে বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জনস্বার্থে করোনা রোধক টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ রুখতে।
উল্লেখ্য, গত বছর আজকের দিনেই দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। গত একবছরে প্রায় ৯১ কোটি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে দেশে। তবে টিকাকরণে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ভারতবাসীর সংখ্যা অনেকটাই কম। প্রায় ৬৬ লক্ষ মানুষ করনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দেশে। স্বভাবতই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ব্যক্তির সংখ্যা কম হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না। এই আবহে কেন্দ্রের তরফে বারংবার আবেদন করা হয়েছে সবাইকে টিকাকরণ সম্পন্ন করতে।