দুই সপ্তাহ আগেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফে ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনে পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন জানানো হলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়ে কোনও কারণ কেন্দ্রের তরফে জনসমক্ষে আনা হয়নি। এরপরই মাদারের সংস্থার তরফে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য ব্যাঙ্কগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক জলঘোলা। এই পরিস্থিতেতে দীর্ঘ বিতর্কের পর ফের একবার ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতাভুক্ত সংস্থাগুলির তালিকায় জায়গা পেল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি।
উল্লেখ্য, ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনে লাইসেন্স না থাকলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থ খরচ করতে পারে না। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে ‘কিছু নথি’ জমা পড়তেই মাদারের হাতে গড়া সংস্থার ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বড়দিনের দিন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির আবেদন খারিজ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই সময় কেন্দ্রের তরফে শুধু এটুকু জানানো হয়েছি যে, ‘কিছু বাজে তথ্য’ উঠে আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি প্রসঙ্গ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ব্রিটিশ আদালতেও পৌঁছে যায়। শুক্রবার ব্রটিশ সংসদের উচ্চকক্ষ, অর্থাত্ হাউজ অফ লর্ডসে এই নিয়ে সরব হন বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। তাঁরা আবেদন জানান যাতে ব্রিটিশ সরকার বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে। অবশ্য এই আলোচনার একদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাদারের সংস্থার রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বাড়াল।
উল্লেখ্য, এফসিআরএর অধীনে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪৭১২০০০১। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশনটি বৈধ ছিল। পরে সেই রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আর আজকের পুনর্নবীকরণের পর মাদারের সংস্থার এফআরসিএ রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৈধ থাকবে।