ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার ব্যাপারে এবার কেন্দ্রের আশ্বাস নিয়ে ফিরলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে। এছাড়াও প্রতিনিধিদলটি দেখা করে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের সঙ্গেও। কেন্দ্রের তরফে বিষয়টি অর্থ কমিশনে বিবেচনা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্যের জল সম্পদ মন্ত্রী মানস ভুইঞা জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখছে। প্রকল্পটির খুঁটিনাটি বিবেচনা করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রস্তাবটিকে অর্থ কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করা যায়, খুব দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে, ততক্ষণ পুরো বিষয়টি ঠগের বাড়ির ভোজের মতো। না আঁচালে বিশ্বাস নেই। ৬২ বছরের বাস্তবায়িত হয়নি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। তাই শুধু কথায় চিঁড়ে ভিজবে না। ঘাটালের সাংসদ দেব জানান, এই সরকারকে সত্যিই বিশ্বাস নেই। ১৯৫২ সাল থেকে আলোচনা চলছে। ২০১৪ সাল থেকে আমি নিজে এই ব্যাপারে লড়ে যাচ্ছি। অর্থ কমিশনে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়।
রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইঞা, সাংসদ দেব ছাড়াও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক জুন মালিয়া, শিউলি সাহা, হুমায়ূন কবীর, শ্রীকান্ত মাহাতো, অজিত মাইতি ও রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ছাড়াও বিভিন্ন নদীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে বন্যার সমস্যা মেটাতে ৪৯৮ কোটি ও ৫৭১ কোটি দুটি প্রকল্পের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এ
কইসঙ্গে তিনি জানান, ডিভিসির জলাধার বহু বছর আগে তৈরি হয়েছে। এরপর থেকে এই জলাধারে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে কোনও চিন্তাভাবনা করা হয়নি। জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে কেন্দ্রের চিন্তাভাবনা করা উচিত।