নিজের অবস্থানে অনড় রইল কেন্দ্র। নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের এমনটাই জানাল কৃষক সংগঠনগুলি। তার জেরে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আরও জট বাড়ল। একইসঙ্গে বুধবার কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তাও বিশ বাঁও জলে চলে গেল।
মঙ্গলবার ‘ভারত বনধ’-এর দিন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকের জন্য ডেকেছিলেন শাহ। দ্রুত জট কাটাতে কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলি ষষ্ঠ দফার বৈঠকের আগেরদিনই সেই আলোচনায় বসেন তিনি। যদিও বৈঠকের আগেই কৃষক সংগঠনগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছিল, ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-তে উত্তর দিতে হবে। মধ্যবর্তী কোনও রাস্তা নেওয়া যাবে না।
সূত্রের খবর, রাত আটটা থেকে শুরু হয়েছিল সেই বৈঠক। সবমিলিয়ে ১৩ জন কৃষক নেতাকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে পঞ্জাব ও হরিয়ানার প্রতিনিধি ছিলেন আটজন। বাকিরা দেশের অন্যান্য প্রান্তের নেতা ছিলেন। একইসঙ্গে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সোমপ্রকাশ। যিনি পঞ্জাবের সাংসদ।
প্রায় ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকে জট তো কাটেনি, উলটে আরও ক্ষোভ বেড়েছে কৃষকদের মধ্যে।সর্বভারতীয় কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘কৃষি আইন ফিরিযে নিতে তৈরি হয় সরকার।’ কেন্দ্রের সেই মনোভাবের পর কঠোর অবস্থান নেয় কৃষক সংগঠনগুলি। বুধবার যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন উঠে যায়। হান্নান বলেন, 'আগামিকাল (বুধবার) কৃষক এবং সরকারের মধ্যে কোনও বৈঠক হবে না। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামিকাল কৃষক নেতাদের একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। সরকারের প্রস্তাব বিবেচনার জন্য কৃষক সংগঠনের নেতারা বৈঠক করবেন।' যা বুধবার বেলা ১২ টায় দিল্লি ও হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে হবে।