Minority status for Hindus demand: কিছু রাজ্যে কি হিন্দুরা সংখ্যালঘুর মর্যাদা পাবে? ধীরে চলো নীতি নিল কেন্দ্র

আরো বেশি আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে কি হিন্দুরা সংখ্যালঘু স্টেটাস পাবে? এই নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিল কেন্দ্র। এখনই এ বিষয়ে কোনও অবস্থান নিল না কেন্দ্র, আরো কিছুটা সময় চেয়ে নিল মোদী সরকার। এদিন এই সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে যে সব রাজ্যের সঙ্গে এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সবার সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেই চূড়ান্ত অবস্থান নির্ধারিত করা হবে। 

এর আগে মার্চে কেন্দ্র বলেছিল যে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতা থাকা উচিত কোনও জাতিকে সংখ্যালঘু ঘোষণা করার। কিন্তু মে মাসে কেন্দ্র বলে যে তারা এই অবস্থান প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ও বাকি অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবে। সোমবার যে হলফনামা জমা করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে অধিকাংশ রাজ্যই এই নিয়ে কোনও অবস্থান নেইনি। সংখ্যালঘু মন্ত্রক এই কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। 

এদিন কেন্দ্র জানিয়েছে যে নাগাল্যান্ড, জম্মু কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই বিষয়টির বৃহত্তর প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যগুলিতে। প্রাথমিক ভাবে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সংবিধানের বিশেষ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন যেখানে সংখ্যালঘুদের জন্য সমস্ত সাহায্য শুধু খ্রীষ্টান, মুসলমান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈনদের জন্য বরাদ্দ। মামলায় বলা হয় যে লাদাখ, মিজোরাম, লক্ষদ্বীপ, জম্মু-কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব ও মণিপুরে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাহলে তারা সেখানে বিশেষ সুবিধা পাবে না কেন। 

মে মাসে বিচারপতি কৌলের বেঞ্চ ৩০ অগস্ট অবধি কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করার সময় দেয়। কিন্তু আপাতত সেই নিয়ে কিছু বলল না কেন্দ্র। এর মধ্যেই বিচারপতি ললিতের বেঞ্চে আরেকটি মামলা জমা পড়েছে যেখানে বলা হচ্ছে যে শুধু সংখ্যার বিচার করে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করে দিতে পারে না কেন্দ্র। মামলায় বলা হয়েছে যে এই পুরো বিষয়টি বিচারসভার এক্রিয়ারের বাইরে। সোমবার দেওয়া হলফনামায় এই ঝুলে থাকা মামলাটির উল্লেখ করেছে কেন্দ্র।