চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন মামলায় রিটার্নিং অফিসার অনিল মসিহকে তুমুল ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩০ জানুয়ারি 'নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা চালানো উচিত' বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। আর নির্বাচনে যে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়েছিল এবং গণনার দিনে ভিডিয়ো রেকর্ডিং, তা চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেগুলি যাতে সুরক্ষিতভাবে দিল্লিতে আনা যায়, সেজন্য পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টকে একজন বিচারবিভাগীয় অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দুটোর মধ্যে সেই রেকর্ডিং আনতে হবে। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনের ক্ষেত্রে 'ঘোড়া কেনাবেচা' হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট যখন সেই নির্দেশ দিয়েছে, তখন শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শুনানি প্রক্রিয়ায় হাজির ছিলেন রিটার্নিং অফিসার। একটি ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসারের থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, 'আপনাকে প্রশ্ন করছি আমি। যদি আপনি সত্যি উত্তর না দেন, আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এটা গুরুতর বিষয়। আপনি কেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়েছিলেন এবং ব্যালট পেপারের উপর কেন দাগ কাটছিলেন?'
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের (যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র) প্রশ্নের প্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘আগেই ওই ব্যালট পেপারের বিকৃত করে দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু সেটা দাগ দিচ্ছিলাম। ওখানে এত ক্যামেরা ছিল যে আমি স্রেফ তাকিয়ে ছিলাম।’ তিনি যে ব্যালট পেপারের উপর ‘এক্স’ দাগ কেটেছেন তথা ব্যালট পেপার কেটে দিয়েছেন, সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
তবে এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন না রিটার্নিং অফিসার। গত ৫ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ একেবারে কড়া ভাষায় বলেছিল, এটা 'স্পষ্ট' যে রিটার্নিং অফিসার ব্যালট পেপারকে 'বিকৃত' করেছেন। তিনি যা করেছেন, সেটা গণতন্ত্রের 'হত্যা' এবং 'উপহাস'-র সামিল বলে তুমুল ভর্ৎসনা করেছিল ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার যাতে সেই মামলার শুনানি না হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট বলে দেয়, ‘ঘোড়ার কেনাবেচা চলেছে।’