বছর ঘুরলেই একাধিক রাজ্যে হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোট। ২০২২ এ উত্তরপ্রদেশ থেকে পঞ্জাবে ভোট মহারণ নিয়ে নীতি নির্ধারণে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক শিবির। এদিকে, তারই মাঝে এদিন চণ্ডিগড় পুরসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এই ভোটে ১৪ টি আসন জিতে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। ২০২২ সালে পঞ্জাব নির্বাচনের আগে এই পরিসংখ্যান যে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। এই নির্বাচনের পর এলাকার রাজনৈতিক হাওয়া কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে, আপের এই বিজয়ে আপ্লুত আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চড্ঢা এদিন সাফ জানিয়েছেন 'পিকচার অভি বাকি হ্যায়'।
পাঞ্জাব নির্বাচনের আগে, চণ্ডিগড়ের বুকে এই ১৪ আসন দখলের পর আম আদমি পার্টির তরফে রাঘব চড্ডা বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গভর্নেন্সের মডেল এটাই। আমরা মানুষের কাছে আবেদন করব যে, তাঁরা যেন আমাদের সুযোগ দেন। ১৯৯৬ সাল থেকে বিজেপি ও কংগ্রেস চণ্ডিগড় পুরসভায় রাজত্ব করেছে ১২ বছর। এবার আপকে সুযোগ দিয়েছেন মানুষ। ' প্রসঙ্গত, চণ্ডিগড় পুরসভার ভোটে গণনার প্রথম ট্রেন্ড থেকেই একক সংখ্যা গরিষ্ঠ পার্টি হিসাবে উঠে আসে আম আদমি পার্টি। এদিকে, চণ্ডিগড়ের বা পঞ্জাবের রাজনৈতিক সমীকরণে বিজেপির উত্থান ও অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ইস্যুতে রাঘবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'চণ্ডিগড়ের মানুষ বিরক্ত হয়ে পড়েছেন এই পার্টিগুলিকে নিয়ে। এবার তাঁরা আশার দিকে যেতে চাইছেন।'এর সঙ্গেই রাঘব স্পষ্ট করে বলেন, 'চণ্ডিগড় ট্রেলার ছিল, পঞ্জাবে পিকচার বাকি হ্যায়।'
এদিকে, পাঞ্জাবের বুকে রাজনৈতিক সমীকরণে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে কৃষি আন্দোলন। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কার্যত ব্যাকফুটে চলে গিয়ে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টায় বিজেপি। কংগ্রেস দলীয় কোন্দল মিটিয়ে স্বমহিমায় ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে পঞ্জাবের বুকে। এদিকে, কৃষকদের রাজনৈতিক সংগঠন সংযুক্ত সমাজ মোর্চা নতুন করে পঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার আসয় রয়েছে। তবে এই কৃষকের সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা করে পঞ্জাব নির্বাচনে কোনও বড় পদক্ষেপের পথে কেজরি শিবির যাবে কি না সেবিষয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি পঞ্জাবে আপের তরফে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা রাঘব। প্রসঙ্গত, ৩৫ ওয়ার্ডের চণ্ডিগড় পুরভোটের গণনা শুরু হয় এদিন সকালে। ময়দানে ছিল , অকালি-বিএসপি জোট, ছিল কংগ্রেস, বিজেপি, আপের মতো দল। তবে সকলকে ছাপিয়ে শেষ হাসি হাসতে শুরু করে কেজরিওয়াল শিবির।